এ সময় ছবি তুলতে গেলে এক সাংবাদিকের উপর হামলা চালানো হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ জানান, বুধবার বিকালে থানার সামনে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় মঙ্গলবার বিকালে বিজয় দিবসের এক আলোচনা সভায় সাবেক নারী সংসদ সদস্য (এমপি) আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়াকে লাঞ্চিত করার চেষ্টা চালায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের একটি পক্ষ। এ সময় কেয়ার পক্ষে স্বেচ্ছাসেক লীগের লোকজনের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধরীর সমর্থকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওসি বলেন, “ওই ঘটনার জেরে বুধবার বিকালে হবিগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ডাক দেয় জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।অন্যদিকে কেয়াকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি ডাকে জেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের একটি পক্ষ।
“উভয় পক্ষ হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার সামনে মুখোমুখি হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং এ সময় দুপক্ষের অন্তত সাতজন আহত হন।”
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান ওসি দৌস।
এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ কামরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা সাবেক নারী সাংসদ কেয়ার উপর হামলার প্রতিবাদে জেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। ওই স্থানে ছাত্রলীগ-যুবলীগও পাল্টা কর্মসূচি করায় উত্তেজনা দেখা দেয়।”
আর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহীর ভাষ্য, মঙ্গলবারের ঘটনার পর কেয়ার সমর্থকেরা ফেইসবুকে আলমগীর চৌধুরীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় ধাওয়া পাল্টা ধা্ওয়ার ঘটনা ঘটে।