নাটোরের লালপুরে পাল্টাপাল্টি সম্মেলন ঘোষণার পর ১৪৪ ধারা

নাটোরের লালপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ পাল্টাপাল্টি সম্মেলন ডাকার পর ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Dec 2020, 04:38 AM
Updated : 23 Dec 2020, 05:06 AM

বুধবার সকাল থেকে দুড়দুড়িয়ার রামপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে লালপুরের দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।

আওয়ামী লীগের দুই নেতার অনুসারী দুই পক্ষ একই স্থানে সম্মেলন করার ঘোষণা দেওয়ায় ‘শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে’ মঙ্গলবার রাতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, অনেক আগেই দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বুধবার রামপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন আহ্বান করেন। সম্মেলন উপলক্ষে মাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়।

গত সোমবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নায়েব উদ্দিন একই স্থানে ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন আহ্বান করেন।

তাতে ‘আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা’ দেখা দেওয়ার কথা বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টায় সভাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেন বলে জানান ওসি।

“রাতেই এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। বুধবার সকাল হওয়ার আগেই আয়োজকরা সম্মেলন স্থল থেকে মঞ্চ ও প্যান্ডেল সরিয়ে নেন। ফলে আজ কোনো পক্ষেরই ওই কলেজ মাঠে সম্মেলন হচ্ছে না।”

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, একই স্থানে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ সম্মেলনের ডাক দিয়েছিলেন। জনশৃঙ্খলার কথা ভেবে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় সম্মেলন স্থগিত করার কথা জানিয়ে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন আহ্বান করেছিলেন। সেখানে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) এর সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম প্রধান বক্তা এবং সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।

তবে সভাপতি নায়েব উদ্দিন বলেন, “ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলন এখনও হয়নি। এ অবস্থায় কী করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়?”

লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী বলেন, “আমরা জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশে সেখানে সম্মেলন করার কথা বলেছিলাম। ওয়ার্ড কমিটির মেয়াদ এখনও শেষ না হওয়ায় ওয়ার্ড কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।”

সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, গঠনতন্ত্র অনুসারে ওয়ার্ড কমিটি গঠন না করে ইউনিয়ন কমিটি করা যাবে না। অথচ অগণতান্ত্রিকভাবে সেখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন ডাকা হয়েছিল।

“আমাকে প্রধান বক্তা করার কথা বলা হলেও এ ব্যাপারে আদৌ আমাকে বলা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন জনস্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করে ঠিক কাজই করেছেন।”