বাঘা যতীন ভাস্কর্য ভাঙচুর: গ্রেপ্তার তিনজন রিমান্ডে

কুষ্টিয়ায় ব্রিটিশ বিরোধী নেতা বাঘা যতীনের আবক্ষ ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনকে তিনদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।  

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2020, 07:52 AM
Updated : 21 Dec 2020, 07:52 AM

সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সেলিনা খাতুন রিমান্ডের আবেদনের শুনানি করে তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরা হলেন- কয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি কয়া ফুলতলা গ্রামের মহিরুদ্দিন সেখের ছেলে আনিসুর রহমান আনিছ (৩৫), নাসির উদ্দিনের ছেলে সবুজ হোসেন (২০) ও বুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে হৃদয় হোসেন (২০)।

কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, বাঘা যতীনের আবক্ষ ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে কয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে তিনদিনের করে আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয় চত্ত্বরে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী সংগঠন 'যুগান্তর দলে'র নেতা যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৭৯ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীতে। খালি হাতে বাঘ মারার কারণে তিনি ‘বাঘা যতীন’ নাম পান।

১৯১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন যতীন। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৩৬ বছর।

মুজিববর্ষে ঢাকার ধোলাইড়পাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলে তার বিরোধিতা শুরু করেন কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক বিভিন্ন সংগঠনের জোট হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

হেফাজতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক ভাস্কর্য তৈরি করা হলে তা ‘বুড়িগঙ্গায় ফেলার’ হুমকি দেন। এরপর চট্টগ্রামে এক ধর্মীয় সভায় হেফাজত আমির জুনাইদ বাবুনগরী যে কারও ভাস্কর্য তৈরি করা হলে ‘টেনেহিঁচড়ে’ ভেঙে ফেলার হুমকি দেন।

এ নিয়ে প্রতিবাদের মধ্যেই ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই ঘটনায় স্থানীয় এক মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।