শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কামাল খানী ও মজলিশপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হলে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা, থানা পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, কানিভাঙ্গা নামের একটি জলাশয়ে কামালখানী গ্রামের লোকজন বাঁধ দেওয়ায় মজলিশপুর গ্রামের লোকজন শুক্রবার ভোরে তা ভেঙে ফেলে।
এর জেরে দুই গ্রামের বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে ডেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
বানিয়াচং থানার ওসি এমরান হোসেন জানান, সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পরও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। বর্তমানে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি থানা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ওসি জানান, আহতদের মধ্যে আছেন আবিদুর (৩০), লাল মিয়া (৩৫), মনছুর (৪০), অলি হোসেন (৩৭), জমির (৩৬), অপু সরকার (৩০), নিপু (৩০), সাজিদ (২৩), নূরুল আমীন (৪০), সাজলু (৩১), ফজলু (৪২), জিলু (২৮), নাজমুল(২৮), হারুন (৩৮), জসিম (৪০) ও আনসার মিয়া (৩৭)।
মজলিশপুর গ্রামের নজির মিয়াকে (২৫) গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে শান্ত করেছেন। সবকিছু এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আছে।