বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর তাজহাট থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন।
তাজহাট হাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান, অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষকসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
এদিকে, এই বিষয়টাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে তার জন্য ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন মামলার আসামি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকাতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তবিউর রহমান প্রধান।
অভিযোগে বলা হয়, ৪ নম্বর আসামি বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট দিলে পরদিন (১৭ ডিসেম্বর) সবার দৃষ্টিগোচর হয়। এছাড়া আসামিরা ‘স্বেচ্ছায়’ ও ‘স্বজ্ঞানে’ জাতীয় পতাকার বিধিমামলার ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। এছাড়া ১ নম্বর আসামি তার ফেইসবুকে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ পোস্ট দিয়েছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
পরিদর্শক রবিউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই বিষয়ে অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই ব্যাপারে মামলার ১ নম্বর আসামি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকাতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তবিউর রহমান প্রধান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসলে আমরা এটাকে জাতীয় পতাকা হিসেবে ধরিনি; এটাকে লাল-সবুজের একটি প্রতীক হিসেবে নিয়েছি। এতে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় আমি ‘দুঃখিত’।”
এই বিষয়ে মামলার ২ নম্বর আসামি বাংলার বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পরিমল চন্দ্র বর্মণ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি বিকৃতির বিষয়টি বুঝতে পারেননি। সবাই দাঁড়িয়েছেন দেখে তিনিও গিয়ে দাঁড়িয়েছেন।
“বিষয়টি আসলে অবমাননা। কিন্তু আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বাইরে থেকে এসে সবাইকে দেখে আমিও দাঁড়িয়ে পড়েছি। সামনের অংশটা খেয়াল করিনি।”