কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2020, 02:37 PM
Updated : 16 Dec 2020, 03:20 PM

সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের ডিসি মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর জাতির জনকের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ১০০টি কবুতর উড়িয়ে এই ভাস্কর্য উদ্বোধন করার পর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। উন্মুক্ত থাকবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ডিসি কামাল বলেন, “কুষ্টিয়াসহ দেশের কয়েকটি স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় ভাস্কর্য নির্মাণের মাধ্যমে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে শিল্পকর্মটি উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিবাদের ঢেউ সাগর তীর থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

তিনি জানান, কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে একটি স্থায়ী ভাস্কর্য নির্মাণও প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে প্রস্তাবাধীন ভাস্কর্যটির নকশা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের সমন্বয়ক ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, “কুষ্টিয়ায় যখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার অপচেষ্টা চালানো হয় তখনই মাথায় আসে সমুদ্রসৈকতে বালু ভাস্কর্য স্থাপনের মধ্য দিয়ে নতুন আঙ্গিকে প্রতিবাদ জানানোর। এর অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।”

বালু ভাস্কর্য নির্মাণে অংশ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান শিপন।

শিপন বলেন, “ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ হিসেবে বালু ভাস্কর্য নির্মাণে অংশগ্রহণ করেছি। প্রতিবাদটি সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধুর সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ বালু ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “দশ ফুট উচ্চতার এই ফ্রি-স্ট্যান্ডিং আবক্ষ ভাস্কর্য, ছয় ফুট প্রস্থ ও দশ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি রিলিপ ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বালুর কাঠামো দিয়ে এ ধরনের ভাস্কর্য নির্মিত হয়নি। ”

পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী অনুষ্ঠানে ছিলেন।