ইবির শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ

বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে গিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদল কর্মচারীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2020, 11:22 AM
Updated : 16 Dec 2020, 11:22 AM

এই সময় ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

বুধবার বিজয় দিবসের সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মুক্ত বাংলা’র পাদদেশে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসন ভবনের সামনে পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়ানোর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের স্বারক ভাস্কর্য ‘মুক্ত বাংলা’য় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য।

এরপর একে একে শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, ইবি শাখা ছাত্রলীগ  ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।

এক পর্যায়ে ফুল দেওয়ার জন্য ইবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি অংশ বেদিতে ওঠেন। ওই সময় তারা জুতা পায়ে বেদিতে উঠছেন অভিযোগ তুলে কয়েকজন ছাত্র প্রতিবাদ করেন।  

এই সময় উপস্থিত লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং দুটি দল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সময় ক্যাম্পাসে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা মারামরির ঘটনা ঘটে।

এই সময় সংবাদ ও চিত্র সংগ্রহকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাংবাদিক হামলা ও হেনস্তার শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মো. মোর্শেদুর রহমান বলেন, “মহান বিজয় দিবস পালন ও স্মরণ করতে তার যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য লংঘন করে একদল ‘জামাত-বিএনপি’ সমর্থিত লোক জুতা পায়ে বেদিতে উঠে অবমাননা করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি।”

তিনি উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুল হান্নানসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জুতা নিয়ে বেদিতে ওঠার অভিযোগ করেন।

উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুল হান্নান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সেখানে সিসি ক্যামেরাসহ অনেক সাংবাদিক ভাইদের ক্যামেরা ছিল। সেগুলি দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে আমাদের পায়ে জুতা ছিল কিনা। এটা ওরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে। আমরা এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ বিচার দাবি করছি।”

এই বিষয়ে প্রক্টর পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, “আজকের মহান বিজয় দিবসে যারা ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল রুল ব্রেক করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই বিষয়ে ইবি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সকালে বেদিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মকর্তা কর্মচারী ও ছাত্রদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ক্যাম্পাস এখন শান্ত।

সাংবাদিক লঞ্ছনার বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জনান।