ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

বিজয় দিবসে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মীরা শহরে ফারুকী পার্ক স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার পর তাদের উপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2020, 07:11 AM
Updated : 16 Dec 2020, 07:22 AM

ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল মিয়ার অভিযোগ, বুধবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনায় তাদের সংগঠনের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে ভিপি নূরের সমর্থকরা শহরের ফারুকী পার্ক স্মতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। এ সময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মী বলে তাদেরকে শ্রদ্ধা নিবেদনে বাধা দেয় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও তার কর্মী-সমর্থকরা।

পরে ৪/৫ জন নেতাকর্মী ফুল দিয়ে স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতহাতির ঘটনাও ঘটে।

এ ঘটনায় স্মৃতিসৌধ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের হাত থেকে জাতীয় পতাকা ছিনিয়ে নিয়ে স্মৃতিসৌধের সামনের সড়কে মিছিল করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

ঘটনার বর্ণনায় জুয়েল বলেন, “আমরা আনুমানিক ৩০/৪০ জন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাই। এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা ৪-৫ জনকে নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে বলেন। আমরা তাদের কথামতো ৪-৫ জন ফুল দিয়ে স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তর থেকে বের হয়ে যাই। পরবর্তীতে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে।

“এতে আমাদের জেলা কমিটির সভাপতি আশরাফুল হাসানসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আমাদের সঙ্গে কোনো শিবিরকর্মী ছিলনা। তবে কয়েকজন মাদরাসা ছাত্র ছিল।”

অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, “ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে আমাদের কোনো হাতাহাতি বা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। প্রতি সংগঠন থেকে সর্বোচ্চ ১০ জন স্মৃতিসৌধে আসার নির্দেশনা থাকলেও তারা কোন রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সরকারের নির্দেশনা না মেনে ফুল দিতে আসছিল।

“তাছাড়া তারা শিবিকর্মীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে এসেছিল। এ সময় তারা স্মৃতিসৌধে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করে। পরে সাধারণ ছাত্ররা তদেরকে (শিবিরকর্মী) তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমরা স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে মিছিল করেছি।“

হামলার বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, “স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তরে কিছু হয়নি। বাইরে কিছু হয়েছে কিনা সেটি বলতে পারব না।”