বুধবার শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, গার্ড অব অনারসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলায় জেলায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস।
তারই খণ্ডচিত্র উঠে এসেছে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে।
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
বুধবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি-বেসরকারি এবং মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
একই সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ও শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।
এছাড়াও উপজেলাগুলোয় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস।
সব মসজিদে বাদ জোহর এবং মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীর উপসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
জেলখানা, হাসপাতাল, শিশু পরিবার এবং নারী পুনর্বাসন কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
অপর দিকে, ভোর ৬টা থেকে সারাদিন প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, জেলার প্রধান প্রধান সড়কে দ্বীপে জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
বিকাল সাড়ে ৫টার শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ
বুধবার সূয্যদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবস পালনের কর্মসূচি।
পরে প্রশাসন, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও শ্রমজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহরের শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে ৭১-এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সেখানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে মানুষের ঢল নামে। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ।
এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানের নেতৃত্বে শহরে একটি বিজয় শোভযাত্রা বের করা হয়।
সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সুশাসন চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ডিসি শাহিদা সুলতানা ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান।
এরপর গার্ড অব অনার প্রদান করে জেলা পুলিশ। পরে বেলুন ও শান্তির প্রতীক কবুতর ওড়ানো হয়।তারপর সুশাসন চত্বরে বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়।
সকাল ৯টায় শহরের জয়বাংলা পুকুর পাড়ের বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের বেদীতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ ডন ও আব্দুল আওয়াল শামীম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এরপর জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে মহান বিজয় দিবেসের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এর আগে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গোপালগঞ্জে বিজয় দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন গোপালগঞ্জের জেলার ডিসি শাহিদা সুলতানা।
এরপর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গোপালগঞ্জ জেলা ইউনিটের প্রশাসক, গোপালগঞ্জ শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামলী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছা সেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক,সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, শ্রমজীবী সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ সময় সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের ঢল নামে বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে। বিজয়ের এই ক্ষণে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতার এ মহানায়ককে গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন উপস্থিত সর্বসাধারণ।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে স্বাস্থ্য বিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে।
সকাল ৭টায় নগরীর পাটগুদাম ব্রীজ মোড় স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তপোধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
পরে সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, রেঞ্জ ডিআইজি ব্যরিস্টার হারুন অর রশিদ, ডিসি মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাগেরহাট
নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বাগেরহাটে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বুধবার সকালে বাগেরহাট শহরের দশানী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা হয়।
সকাল ৭টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন।
মিছিল নিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধ স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে বাগেরহাটের সব সরকারি অফিসে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে এক সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধী চক্রকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেন বক্তারা।
কুমিল্লা
পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস।
বুধবার সূর্যোদয়ের সময় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, নগর উদ্যানের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালসহ, শহীদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সদর সংসদ সদস্য আকম বাহা উদ্দিন বাহার, নারী সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা।
এ সময় পুলিশবাহিনীর বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
এরপর জেলার ডিসি আবুল ফজল মীরের নেতৃত্ব জেলা প্রশাসন, এরপর পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলার সামাজিক-সাংস্কুতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাথীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা জানান।
জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করেছে কুমিল্লাবাসী।
জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহান বিজয় দিবসের এক আলোচনা সভা হয়েছে।
জয়পুরহাট
৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে জয়পুরহাটে মহান বিজয় দিবসের শুভ সূচনা হয়।
এছাড়াও পুষ্পস্তবক অর্পন করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জেলা প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
শেরপুর
প্রত্যুষে একত্রিশ বার তোপধ্বনি, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শেরপুরে মহান বিজয় দিবসের সারা দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
করোনাভাইরাসের মহামারী, শীত ও ঘন কুয়াশা উপক্ষো করে প্রত্যুষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে।
এখানে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে সেখানে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
এদিকে, বুধবার সকালে শেরপুর টাউনের চকবাজারে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল। এ সময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সকাল ৮টায় সার্কিট হাউজে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ১০টায় ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা
মহামারী পরিস্থিতির মধ্যে সীমিত পরিসরে সাতক্ষীরায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বুধবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের খুলনা রোড মোড়ে বঙ্গবন্ধুর মুরালে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জেলার ডিসি মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম ও এতিম খানায় উন্নত মানের খাবার সরবরাহ এবং অনলাইনের মাধ্যমে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিজয় দিবসে জেলায় জেলায় শহীদদের শ্রদ্ধা
এই নিউজের নিচে যোগ হবে এই অংশটা, যথারীতি জেলা ট্যাগ ও কি করতে হবে
মাগুরা
বুধবার সকাল ১১টায় শহরের নোমানী ময়দানে এ শোভযাত্রা উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাল-সবুজে শোভিত শত জাতীয় পতাকা নিয়ে বাইসাকেল শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন
খুলনা
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে খুলনার ডিসি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এরপর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে খুলনা সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
কুড়িগ্রাম
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলেজ মোড়স্থ স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
পরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গকে সংবর্ধনা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
এছাড়া হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোয় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এবং অনলাইন ও ডাকযোগে শিশুদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ
দিবসের প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের সূচনা করা হয়।
সকাল সাড়ে ৬টায় শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের প্রদি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলার ডিসি মনিরুজ্জামান তালুকদার ও পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।
এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সার্কিট হাউসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।