ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মুলা, শিম, ওলকপি, পালংশাক প্রভৃতির দামের ব্যাপক পতন হয়েছে ১০ থেকে ১২ দিনের ব্যবধানে।
এতে ক্রেতাদের মুখে হাসি দেখা গেলেও চাষিদের মন খারাপ। কেউ কেউ লোকসানের শঙ্কার কথাও বলেছেন।
জেলার কয়েকটি হাটবাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। কয়েকদিন আগে একই আকারের ফুলকপির দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
ইছাহাক আলি বলেন, তিনি ১০ মন ফুলকপি বাজারে এনেছেন। পাইকারি ৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। ক্ষেত থেকে কপি তুলতে ৫শ টাকা শ্রমিককে দিতে হয়েছে। হাটে আনতে ভ্যান ভাড়া লেগেছে আরও ৬শ টাকা।
এই দামে কপি বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠবে না বলে জানান এই চাষি।
শনিবার শৈলকুপা হাটে ১০ মন ফুলকপি নিয়ে আসেন গোবিন্দপুর গ্রামের চাষি সুজন মন্ডল।
তিনি জানান, প্রতি মণ বিক্রি করেছেন ২৫০ টাকা দরে। হাটে আনতে ভ্যান ভাড়া লেগেছে ৪শ টাকা।
একই গ্রামের চাষি আবুল হোসেন বলেন, ফুলকপির চেয়ে বাঁধাকপির দাম একটু বেশি। এক/দেড় কেজি আকারের প্রতিটি ৯ টাকা দরে বিক্রি হয়।
শ্রীপুর গ্রামের চাষি আব্দুল লতিফ বলেন, এবার তিন বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। আট মণ কপি শৈলকুপা হাটে এনে ২শ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। হাটে কপি আনতে ভ্যান ভাড়া লেগেছে ৮শ টাকা।
দেবতলা গ্রামের চাষি রিয়াজ আহমেদ বলেন, ৫০টি লাউ হাটে এনে প্রতিটি ৭ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। ১২ কাঠা জমিতে লাউ চাষে তার ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
এ বাজারে টমেটো ও গাজরের দাম এখনও চড়া। খুচরা টমেটো প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং গাজর ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
শৈলকুপা হাটে ক্রেতা শফিকুল আলম স্বপন বলেন, এতদিন চড়া দামে সবজি কিনতে হয়েছে। বর্তমানে দাম কমেছে। একশ টাকার সবজি কিনলে ব্যাগ ভরে যাচ্ছে।