হাসপাতালেও শীতজনিত রোগীরা আসতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি ফসলের ক্ষেতে ছত্রাকসহ রোগ-বালাইয়ের আক্রমণের শঙ্কাও রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রংপুর বিভাগের লাগোয়া জেলা জয়পুরহাট।
এছাড়া, সারা দেশে আংশিক মেঘাচ্ছন্ন এবং তাপমাত্রা একই রকম থাকবে। উত্তরবঙ্গের দুই বিভাগের জেলাগুলোয় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাকুরতলীর বাসিন্দা যাত্রীবাহী নৈশবাস চালক শাহিনুর রহমান, পুরানাপুল রেলগেট এলাকার পশ্চিম সামদেরপাড় গ্রামের মাইক্রোবাস চালক ওয়াহেদ মিয়া, কালাই উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের ট্রাক চালক খাজা মদ্দিনসহ মোটরযান চালকরা এ পেশায় কাজ করছেন দীর্ঘ।
তারা বলছেন, শীতের শুরুর দিকে এমন ঘন কুয়াশা তারা আগে দেখেননি।
এ অবস্থায় যানবাহন চালাতে গেলে ‘দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।’
এদিকে, জেলার কৃষকরাও কুয়াশার বিরূপ প্রভাবের শঙ্কায় রয়েছেন।
পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর গ্রামের কৃষক আসলাম হোসেন, আক্কেলপুর উপজেলার তিলেকপুরের আবু হাসানসহ জেলার বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, শীতকালে দীর্ঘস্থায়ী কুয়াশা হলে শাক-সবজির ক্ষেতে ছত্রাক ও পাতা পচাসহ নানা রোগ-বালাই দেখা দেয়।
তাদের শঙ্কায় সায় দিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মেফতাহুল বারি জানান, গত এক সপ্তাহ জুড়ে শীতের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে দেখা যাচ্ছে।
“এখনো ফসলি জমিতে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বালাই দেখা যায়নি, তবে এমন ঘন কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে কৃষি ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
এদিকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল জানান, সর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে কিছু রোগী হাসপাতালে আসছেন, যাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে। ফলাফল নেগেটিভ আসলেও সর্দি, জ্বর ও কাশির চিকিৎসা দেওয়া চলছে।
শীতের কারণে এরই মধ্যে রাস্তায় মানুষজনের চলাচল কমে গেছে। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে কাউকে তেমন বের হতে দেখা যাচ্ছে না।
তবে এতে বেশি বেকায়দায় পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।