টাঙ্গাইলে শিশু হত্যা: তিনজনের ফাঁসির রায়

টাঙ্গাইলে দুই শিশু হত্যার মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, অপর তিনজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং আরও তিনজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2020, 07:24 AM
Updated : 14 Dec 2020, 09:31 AM

সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাউদ হাসান এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানবীর আহম্মেদ।

২০১৬ সালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুই শিশুর হত্যাকাণ্ডের এ রায়ে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। এছাড়া এজাহারভুক্ত দুইজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

নিহত শিশু শাকিল (১০) ধামরাই উপ‌জেলার চর চৌহাট গ্রা‌মের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে এবং ইমরান (১১) একই গ্রামের আবু বকরের ছেলে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ধামরাই উপ‌জেলার চর চৌহাট গ্রা‌মের তারা মিয়ার ছে‌লে মিল্টন (২২), একই গ্রামের শামছুল হ‌কের ছে‌লে বাহাদুর মিয়া (২২) এবং মির্জাপুর উপ‌জেলার সুজা‌নিলজা গ্রা‌মের বা‌ছেদ মিয়ার ছে‌লে র‌নি মিয়া (২৫)।

আমৃত‌্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হ‌লেন, ধামরাই উপ‌জেলার চৌহাট গ্রা‌মের আফসার উদ্দিনের ছে‌লে শা‌হিনুর এলাইজ শাহ‌া (৩০), শশধরপ‌ট্টি গ্রা‌মের মম‌রেজের ছে‌লে জ‌হিরুল ইসলাম (২০) এবং মির্জাপুর উপ‌জেলার আমরাইল তেলীপাড়া গ্রা‌মের শাহাদত হো‌সে‌নের ছে‌লে আব্দুল মা‌লেক (৩৫)।  

এছাড়‌া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হ‌লেন, চর চৌহাট গ্রা‌মের তা‌জেল মিয়ার ছে‌লে আরিফ (২৮), আফসার উদ্দি‌নের ছে‌লে শামীম মিয়া (২৫) এবং আমরাইল তেলীপাড়ার জব্বার ম‌ল্লি‌কের ছে‌লে জা‌কির হো‌সেন (২৮)। তাদের ম‌ধ্যে আরিফ পলাতক।

রায়ের খবর নিশ্চিত করে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) খোরশেদ আলম জানান, ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে মির্জাপুরের হাড়িয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শাকিল ও ইমরান বাড়ি থেকে বের হয়।

সন্ধ্যা হয়ে গেলেও তারা বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে তাদের পরিবারের লোকজন৷

পরদিন ২৮ জানুয়ারি মামলার বাদীর মামা জোসনা বেগমের কাছে ফোন দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ফোন বন্ধ করে দেয় অজ্ঞাতরা।

পরদিন বিকেল ৪টার দিকে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুরের গুমগ্রাম বাজারের লেবুক্ষেত থেকে ওই দুই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের গলা করা হয়েছিল।

এ ঘটনায় নিহত শাকিলের মা বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা করেন৷

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শফিকুল আলম ১১ জনকে আসামি করে ওই বছরই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

রায়ে অসেন্তাষ প্রকাশ করে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুল বাকী জানান, তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।