শনিবার দুপুরে শহরতলীর পৌদ্দারবাড়ি এলাকার রিভার ভিউ খান ম্যানশন থেকে মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ইয়াছমিন আক্তার (২২) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাছিরনগর গুগণ গ্রামের এখলাছ মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পুর্ব তেঘরিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে জুয়েল মিয়া।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. মাসুক আলী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট এবং পুলিশের তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতের বাবা এখলাছ মিয়া জানান, ইয়াছমিনের সঙ্গে জুয়েলের ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দুইটি ছেলে রয়েছে।
“সম্প্রতি এক এনজিও’র টাকা দেয়া নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে প্রায়ই জুয়েল ইয়াছমিনকে মারধোর করত।
“এরই প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে কোন এক সময় জুয়েল ইয়াছমিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে রান্না ঘরে নিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।”
স্থানীয়রা বিষয়টি আঁচ করতে পারলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে সটকে পড়ে জুয়েল।
এখলাছ মিয়া আরও বলেন, “আমি গরিব মানুষ। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।”