বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা: বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2020, 10:42 AM
Updated : 12 Dec 2020, 05:44 PM

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ফোরাম এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর ডাকে শনিবার পৃথক পৃথকভাবে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ প্রদিপাদ্য সামনে রেখে সরকারি কর্মীদের সমাবেশে জেলার বিচারকরা সহ পুলিশ, প্রশাসনসহ সরকারি কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার পাশাপাশি ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

এছাড়া ব্যবসায়ীরা একই দাবিতে পৃথকভাবে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো বিভিন্ন জেলার প্রতিবেদন

গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে বিচারকরাসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বঙ্গবন্ধুকে অবমানার প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

শনিবার সকালে শহরের শেখ ফজলুল হক মণি অডিটোরিয়ামে ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ প্রতিপাদ্যে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলার ডিসি শাহিদা সুলতানা।

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ফোরাম আয়োজিত এ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ অমিত কুমার দে।

এছাড়া পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদারসহ বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ  কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা যেকোন মূল্যে বঙ্গবন্ধুর সম্মান অম্লান রাখার অঙ্গিকার করেন।

অন্যদিকে, এফবিসিসিআই-এর আহ্বানে গোপালগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রেসক্লাবের সমানে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন করেছে।

গোপালগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি কাজী জিন্নাত আলী, সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ মাসুদুর রহমান মাসুদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে যে পড়া কালো হাত পড়েছে তা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে।

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি, স্বাধীনতা বিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর স্থান হবে না।

ফরিদপুর

একই প্রতিপাদ্যে ফরিদপুরে শোভা ও সমাবেশ করেছে জেলা প্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এছাড়াও ফরিদপুর চেম্বারের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিন করা হয়।

শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় জেলা পুলিশ লাইন থেকে এক বিশাল শোভাযাত্রা শহরের মুজিব সড়ক প্রদক্ষিণ করে কবি জসিম উদ্দীন হলে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

জেলার ডিসি অতুল সরকারের সভাপতিত্বে জেলা ও দায়রা জজ সেলিম মিয়া, পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোশাররফ আলী, প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী বক্তব্য দেন।

অন্যদিকে দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

এ সময় বক্তব্য দেন মনির হোসেন, আওলাদ হোসেন বাবর, লায়ন মোহসিন শরীফ, নজরুল ইসলাম প্রমুখ ।

সেখানে বক্তরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানান।

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

শনিবার সকালে কুড়িগ্রাম কলেজমোড়ের শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে এ প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলার ডিসি মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

এ সময় বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এবং নারী ও শিশু জজ অম্লান কুসুম বিষ্ণু।

এছাড়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, এডিসি (রাজস্ব) জিলুফা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা, সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন, খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বিচার বিভাগসহ সরকারি সব দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা বলেন, জাতির পিতার মর্যাদা রক্ষা করা শুধু সাংবিধানিক বিধিবিধান নয়, বঙ্গবন্ধু সার্বজনিন, তিনি কোনো দল বা গোষ্ঠীর নন। তিনি বাঙালি জাতির সত্তা। তাকে আঘাত করা মানে সংবিধানকে আঘাত করা। বাঙালি জাতির চেতনাকে অপমান করা।

বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে পানি মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে জেলার সব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

শনিবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে এ প্রতিবাদ সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবীর বিন আনোয়ার, জেলার ডিসি আসলাম হোসেন, জেলা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী, পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর ইসলামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নওগাঁ

নওগাঁয় প্রতিবাদ এফবিসিসিআই-এর আহ্বানে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে শহরের গোস্তহাটির মোড়ে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

নওগাঁ চেম্বারের সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টুনু, পরিচালক জাহিদুল হাসান জুয়েল, পরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

চেম্বারের সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল বলেন, দেশ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে, সে সময় একটি কুচক্রী মহল সরকারের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় একটি সাস্প্রদায়িক গোষ্ঠী জাতির জনকের ভাস্কর্য ভেঙে তাকে অবমাননা করেছে। 

“আমরা অবিলম্বে জাতির জনকের অবমাননাকারিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছি।”

নীলফামারী

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য় ভাঙচুরের প্রতিবাদে নীলফামারীতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্য়ালয়ের সভা কক্ষে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জেলার ডিসি হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম সরকার, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন  ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মাহাবুর রহমান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহেদুল হক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান প্রমূখ।

একই দাবিতে দুপুরে নীলফামারী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডাররা।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের সভা কক্ষে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ডা. রাশেবুল হাসান, ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ডা. সাইদুর জামান ভূইয়া প্রমূখ।

জাতির জনকের ভাস্কর্য় ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বক্তারা।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর এবং ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতার প্রতিবাদে নীলফামারীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে ব্যবসায়ীদের সংগঠন নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে সেখানে সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফরহানুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভা মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, চেম্বারের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শফিকুল আলম ডাবলু, পরিচালক শাসুল হক, মফিজার রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ প্রমূখ।

বক্তারা দাবি করে বলেন, যারা বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না ওই সব দেশবিরোধী অপশক্তি ধর্মীয় মৌলবাদীরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করছে। এসব দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা

একই সাথে ভাস্কর্য ভাংচুরের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

নরসিংদী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা এবং জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নরসিংদীতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্টেন্ট অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখা।

শনিবার দুপুরে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনে জেলার কয়েকশ স্বাস্থ্য পরির্দশক, সহকারী স্বাস্থ্য পরির্দশক ও স্বাস্থ্য সহকারী অংশগ্রহণ করেন।

উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন দাবি বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল ওয়াদুদ, বাবুল চন্দ্র দে, স্বাস্থ্য সহকারী মিজানুর রহমান মোল্লা, আশ্রাফুল ইসলাম, নরসিংদী সদর শাখার সভাপতি আফজাল হোসেন, রায়পুরা শাখার সভাপতি বরকত আলী সরকার, পলাশ শাখার সভাপতি শ্রীবাস চন্দ্র শীল, শিবপুর শাখার আহবায়ক আরিফুল ইসলাম, বেলাব শাখার সভাপতি সেলিনা বেগম।

একই স্থানে একই সময়ে নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আলী হোসেনের শিশিরের নেতৃত্বে আরেকটি মানববন্ধন হয়।

কুমিল্লা

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরসহ অবমাননার প্রতিবাদে কুমিল্লায় মানববন্ধন ও শোভাযাত্রা করেছে উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টিজ।

সকাল সাড়ে ১১টায় নগরের পূবালী চত্বরে মানববন্ধন ও পথ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন, কুমিল্লা উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টিজের সভানেত্রী আঞ্জুম সুলতানা সীমা এমপি।

এফবিসিআই-এর পরিচালক কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল ইসলাম শিকদার, মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মিতা শিকদারসহ আরো অনেকে বক্তব্য দেন।

এর আগে ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এ স্লোগানে কুমিল্লায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও শোভাযাত্র বের হয়।

শনিবার বেলা সাড়ে ১০টায় নগরীর টাউন হল মাঠে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

পরে একটি শোভাযাত্রা নগর পার্ক সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের এমপি হাজী বাহাউদ্দিন বাহার, জেলার ডিসি মো. আবুল ফজল মীর, জেলা ও দায়রা জজ আতাউল্লাহ ও পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

কর্মসূচিতে জেলা সদরে কর্মরত বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে এ ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মানববন্ধন ও শোভাযাক্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানার নেতৃত্বে র‌্যালীটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

র‌্যালী শেষে উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু চত্বরে মানববন্ধন করে।

এ সময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

মাগুরা

সরকারি কর্মকর্তা ফোরামের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর ও ভাস্কর্য বিরোধী প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার শহরের আছাদুজ্জামান মিলনাতয়নে জেলা বিচার বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম’ এ সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. কামরুল হাসান, জেলার ডিসি ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান, সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রদীপ কুমার সাহা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হালিম, সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দেবব্রত ঘোষ, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কাজী শামসুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান, জেলা তথ্য অফিসার রেজাউল করিম, জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হামিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

কক্সবাজার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ‘বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য’ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন জেলার ডিসি মো. কামাল হোসেন।

আগামী ১৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি

শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার শহরের কবিতা চত্বর সরণীস্থ নির্মাণাধীন শিশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।

জেলার ডিসি কামাল হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক অবিচ্ছেদ্য নাম। বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা মানেই মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকেই অস্বীকার করার শামিল।

“জাতির পিতার ভাস্কর্য যারা ভেঙেছে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছে। এসব অপরাধীরা দেশ ও জাতির শত্রু। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ধরণের যেকোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে বদ্ধপরিকর। ”

এ সময় প্রতিবাদ কর্মসূচি হিসেবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ‘বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য’ নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়ে জেলার ডিসি বলেন, “পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিনই ঘুরতে আসেন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক। তাই সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য নির্মাণ করে দেশ বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সারা বিশ্ববাসীর কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। ”

বঙ্গবন্ধুর এ বালু ভাস্কর্য’ আগামী ১৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

সমাবেশে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী লগ্নে এসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর এবং ভাস্কর্য স্থাপনা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা জাতির জন্য খুবই দুঃখজনক।

“বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে ধারণ করে স্বাধীন হয়েছে। তাই দেশের শাসন ব্যবস্থা চলবে ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে। এদেশে মূর্তি পূজারীরা যেমন থাকবে, আবার মূর্তির উপাসনা বিরোধীরাও সহাবস্থান নিয়ে থাকবেন।”

সমাবেশে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিচার বিভাগসহ জেলার সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরাও অংশগ্রহণ।

কক্সবাজারের জেলার ডিসি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবর রহমান, ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক এসপি আতিকুর রহমান, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পার্থ সারথি, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী ও নুরুল আবছার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক আবুল কাশেম, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগম ও তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারী পরিষদের নেতা স্বপন কান্তি পাল প্রমুখ।

সমাবেশ শেষের আগে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানানো হয়।

বগুড়া

সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ সভা থেকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দেওয়া হয়।

বগুড়া জেলার ডিসি জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় জেলার সরকারি দপ্তরগুলোর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে একটি ইস্যু তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র আজ মাথা  চাড়া দিতে চাচ্ছে। কিন্তু বাংলার জনগণ কখনোই তা সহ্য করবে না।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা মানে স্বাধীনতা এবং বাঙালি হিসেবে নিজেদের অস্তিত্বে আঘাত হানা।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ কাউছার রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান (লাবু), জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জেলা কালচারাল অফিসার শাহাদৎ হোসেন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বগুড়ার সহাকারী পরিচালক মো. মানিকুজ্জামান।

উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল জজ ইমরান হোসেন চৌধুরী, বিচারক (জেলা জজ) নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আওয়াল, এডিসি (রাজস্ব) আব্দুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহ্উদ্দিন আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী, আব্দুর রশিদ, মোতাহার হোসেন, ফয়সাল মাহমুদ, গাজিউর রহমান, বগুড়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, এনএসআই বগুড়ার উপ-পরিচালক মাজহারুল ইসলাম মামুন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শাহ ইসাহাক আলী, সহকারী কমিশনার এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুর রহমানসহ জেলার সরকারি সব সরকারি দপ্তরের প্রধান।

রাজশাহী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অবমাননার প্রতিবাদে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা চেম্বার ভবনের সামনে রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে।

সেখানে ভাস্কর্য অবমাননাকারীদের প্রতিহতের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যারা অবমাননা করেছে তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি; মহান স্বাধীনতা বিরোধী; দেশ এবং জাতির শক্র। সকলে ঐকবদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিহত করতে হবে।

“তাদের যেখানে পাওয়া যাবে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করতে হবে।”

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, পরিচালক তৌরিদ আল মাসুদ, সাদরুল ইসলাম, শেখ রেজাউর রহমান দুলাল, রিয়াজ আহমেদ খান, সুলতান মাহমুদ সুমন, আসাদুজ্জামান রবি, এসএম আইয়ুব।

এছাড়াও মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রোজেটি নাজনীন, ওয়েব এর সভাপতি আঞ্জুমান আরা পারভীন লিপি, বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ আহমেদ খান, সাবেক পরিচালক এম. শরীফ প্রমূখ।

এফবিসিসিআই এর উদ্যোগে এক যোগে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এছাড়া সরকারি কর্মকর্তারাও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

ভোলা

শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে বাংলা স্কুল মাঠের ভাষানী মঞ্চে সমাবেশে মিলিত হয়।

এতে বক্তব্য দেন, জেলার ডিসি ড. মাহামুদুল হক,  সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল কবিরসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

খুলনা

শনিবার সকালে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।

খুলনার ডিসির কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ সরকারি কর্মকর্তারা মৌন পদযাত্রা করে শহীদ হাদিস পার্কে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, খুলনা জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী, খুলনার ভারপ্রাপ্ত ডিসি ইকবাল হোসেন, পুলিশ সুপার শফিউল্লাহসহ জেলা ও বিভাগীয় দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক সূত্রে গাঁথা। জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাংচুরের মতো অবমাননাকর কর্মকাণ্ড অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয় কাজ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্কে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফোরামের আয়োজনে সমাবেশ হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শফিউল আযম।

তবে তিনি বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি হিসেবে আসার কথা জানিয়ে শফিউল আযম বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণেই আমরা এখন সরকারি চাকরি করছি। এক সরকার আসবে আরেক সরকার যাবে। সরকারে বিষয়ে মতামত থাকতে পারে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে দ্বিমত করার সুযোগ নেই।

ডিসি হায়াত উদ-দৌলা খানের সভাপতিত্বে  বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এএসএম শফিকুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পংকজ ভৌমিক, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সালমা আহমেদ, সমাজ সেবার উপ-পরিচালক মাসুদুল হাসান তাপস, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আজাদ রহমান, সাধারণ সম্পাদক পল্লব চক্রবর্তী। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।

সমাবেশে সরকারি সব দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।