‘ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া’ যুবকের সন্ধান মেলেনি

গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে গাজীপুর জেলা থেকে তুলে নেওয়ার এক মাস পরও হদিস মেলেনি এক যুবকের।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2020, 08:48 AM
Updated : 12 Dec 2020, 09:13 AM

নিখোঁজ বাকী বিল্লাহ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ষোলদাগ দক্ষিণপাড়া এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।

শনিবার সকালে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে বাকী বিল্লাহর বাবা ইয়াকুব আলী সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে বাকী বিল্লাহর স্ত্রী কুলসুম আক্তারসহ তিন শিশু সন্তান উপস্থিত ছিলেন।

গত ১২ নভেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ থানার নিশাত নগর এলাকার তার ভাড়া বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে তুলে নেয় তাকে বলছে বাকীর পুরিবার।

বাকীর স্ত্রী কুলসুম আক্তার বলেন, গত ১২ নভেম্বর সন্ধ্যার আগে ছেলেকে মাদ্রাসায় রেখে আসার জন্য নিশাত নগরের তাদের বাসার নিচে যান বাকী। এ সময় অপরিচিত দুই ব্যক্তি ডিবি পরিচয় দিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করে কোথায় যাচ্ছেন?

এ সময় ‘ডিবি সদস্যরা’ বাকীর ছেলেকে বাসা ফিরে যেতে বলেন এবং বাকী ধাক্কাতে ধাক্কাতে সিলভার রঙের একটি হাইয়েস গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যান।

ওই গাড়ির ভেতর আরও আট থেকে ১০ জন ছিল বলে জানান তিনি।

পরদিন তুরাগ থানায় জিডি করতে করে গেলে তা না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়। তবে পাঁচ দিন ধরে ঘোরার পর জিডি নেয় থানা বলেন কুলসুম আক্তার।

“গত এক মাস ধরে প্রতিক্ষায় আছি কখন সে ফিরে আসবে। আমার তিনটি ছোট ছোট বাচ্চা। এদের নিয়ে আমি কোথায় যাব?”

তার স্বামীর হদিস দিতে সরকারের কাছে অনুরোথ করেন সংবাদ সম্মেলনে।

নিজের ছেলের ব্যাপারে বলতে গিয়ে ইয়াকুব আলী বলেন, তার ছেলে জিপিএ প্রবর্তনের বছর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় একমাত্র জিপিএ ৫ পায়।

এরপর নটরডেম কলেজ থেকেও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে পাশ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়।

তবে দেড় বছর পর ছেলের লেখাপড়ার খরচ দিতে না পারায় বাকীর আর পড়াশোনা হয়নি। তিনি লেখাপড়া ছেড়ে ঢাকায় ফিরে ইন্টারনেটের কাজ শুরু করেন বলেন তারা বাবা।