বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-(৩) এর বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্ল্যাহ চৌধুরী এ রায় দেন বলে হবিগঞ্জের কোর্ট ইন্সপেক্টর জানান।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শিবজয়নগর গ্রামের বাসিন্দা জালাল মিয়া (৩২) এবং রাসেল মিয়া (৩৫)।
তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
হবিগঞ্জের কোর্ট ইন্সপেক্টর আল-আমিন হোসেন জানান, শিব জয়নগর গ্রামের জালাল মিয়াদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল পার্শ্ববর্তী সাবাশ আলীদের।
এরই জেরে ২০১৮ সালের ৬ জানুয়ারি জালালসহ তাদের লোকজন সাবাশ আলীর সাত বছরের শিশু শাহ পরানকে অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
এ মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে পরানকে হত্যা করে মরদেহ গ্রামের একটি ডোবায় ফেলে রাখে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় ১১ জানুয়ারি নিহত শাহ পরাণের বাবা সাবাশ আলী বাদী হয়ে জালাল মিয়া, রাসেল মিয়া ও বাহার মিয়াকে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে জালাল মিয়া ও রাসেল মিয়াকে অভিযুক্ত করে এবং বাহার মিয়াকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
আদালত এ মামলায় ২৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় দিল।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পিপি মোস্তফা মিয়া এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. জসীম উদ্দিন।
আইনজীবী জসীম উদ্দিন বলেন, “এ বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব’।”