উদীচী কার্যালয়ে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণ মৌলবাদের উত্থান রোধের প্রত্যয়ে

সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা- মৌলবাদের উত্থান রোধের প্রত্যয়ে নেত্রকোণায় জেএমবির বোমা হামলায় নিহতেদের স্মরণে ‘স্তব্ধ কর্মসূচি’ পালন করেছেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2020, 07:59 AM
Updated : 8 Dec 2020, 07:59 AM

মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিট ‘স্তব্ধ নেত্রকোণা’ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জনসাধারণকে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে এবং যানবাহনগুলোকে থেমে থাকতে দেখা যায়।

এর আগে সকালে শহরের অজহর রোডে উদীচী কার্যালয়ের পাশে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের মানুষ।

সেখান থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন কর্মসূচি হয় নেত্রকোণা ট্র্যাজিডি দিবস উদ্যাপন কমিটির ব্যানারে।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আইয়োব আলী, মোজাম্মেল হক বাচ্চু, জেলা উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

মোস্তাফিজুর বলেন, “দেশে আবারো মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিবুদ্ধির বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে মৌলবাদি শক্তি। এরা সমাজে  শিকড় গেড়ে বসেছে।

“সত্য ও সুন্দরের পথে যারা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন তাদের ত্যাগকে বুকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

২০০৫ সালের এই দিনে জেএমবির আত্মঘাতি বোমা হামলায় ৮জন নিহত হন ও অর্ধশতাধিক আহত হন। সেদিন  শহরের অজহর রোডে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ও শতদল কার্যালয়ের সামনে সকালে জেএমবির আত্মঘাতি বোমা হামলায় জেলা উদীচীর খাজা হায়দার হোসেন ও সুদীপ্তা পাল শেলীসহ আটজন মারা যান। আহত হন পঞ্চাশ জনের ওপরে।

২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশের দায়ের করা বোমা হামলার মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ঢাকা-২ আদালত তিন জঙ্গি সালাউদ্দিন, আসাদ্জ্জুামান ও ফাহিমকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। অপর আসামি কাউছার আহম্মেদকে বেকুসুর খালাস দেন।

জঙ্গি বাংলা ভাই ও সানির অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় এই দুই জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।