শেরপুরে ছিন্নমূল মানুষের শীতের দুর্ভোগ শুরু

ঘন কুয়াশা আর শিশিরের সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীত এসে গেছে শেরপুরে। এতে ছিন্নমূল ও গরিব মানুষে দুর্ভোগও শুরু হয়েছে।

আব্দুর রহিম বাদল, শেরপুর প্রতিরিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2020, 05:31 AM
Updated : 8 Dec 2020, 08:20 AM

সোমবার থেকে শুরু হওয়া কুয়াশা মঙ্গলবার ভোর থেকে আরও তীব্র হয়েছে। কুয়াশার কারণে সামান্য দূরের জিনিসও ঝাপসা হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়শায় ঢাকা ছিল শেরপুরের জনপদ। আঞ্চলিক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলো সকালেও হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করতে দেখা যায়।

শেরপুর পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলন জুলহাস উদ্দিন বলেন, “আজ (মঙ্গলবার) ভোর থেকে ঘন কুয়াশা। বৃষ্টির মতো শিশির ঝরে পড়ছে। শীতের তীব্রতাও অনেক বেড়েছে। গরিব ও ছিন্নমূল মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে।”

স্থানীয় দিনমজুর রুস্তম আলী বলেন, কুয়াশা ও শীত বাড়ছে আর কাম-কাজও কম।

“শীত থাইকা বাঁচতে, সরকার শীতের কাপড় ও কম্বল দিলে আমরা খুব শান্তি পাইতাম।”

নামা শেরীর চরের আরেক দিনমজুর হাশেম আলী বলেন, শীত আইলে তো আমগরে কষ্টই হয়। কাম-কাজ করা যায় না। শীতের কম্বল পাইলে আমগরে উপকার হইত।

দিনমজুর তমশের উদ্দিন বলেন, “কামের জন্য বইয়া থাইকা কাম পাইলাম না। তাই বাড়িত যাইতাছি গা। ঠান্ডা বেশি হওয়ায় গিরস্থরা আইজ কামলা নেয়ার জন্য আইয়ে নাই।”

এদিকে, শীত জেঁকে বসতে না বসতেই শেরপুর শহরের অলিগলিতে, রাস্তার ধারে সকাল-সন্ধ্যায় বসতে শুরু করেছে নানান পিঠার দোকান। এসব দোকানে, পোয়া, চিতই ও ভাঁপা পিঠার স্বাদ গ্রহণের জন্য শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষ ভিড় করছেন।

শীতের পুরনো কাপড়ের দোকানে বেচাকেনা বেড়েছে বলে জানালেন কয়েকজন ব্যবসায়ী।