বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুরের ডাসায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রেজাউল করিম ভাষাই নামে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি খৈয়ারভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪ বছর বয়সী এ দশম শ্রেণির ছাত্রকে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। ছাত্রের বাড়ি পূর্ব কমলাপুর গ্রামে।
ডাসার থানার ওসি আবদুল ওহাব বলেন, ওইছাত্রের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
স্কুলছাত্রের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি ডাসার থানার কমলাপুর বাজারের কালাই শিকদারের হার্ডওয়ারের দোকানে চুরি হয়।
এ ঘটনার অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাজার থেকে তুলে নিয়ে ডাসার রেজাউল করিমের ঘরে তার নেতৃত্বে তার বোনজামাই আবু হাওলাদার, স্ত্রী পারভিন ও এমদাত সরদারসহ কয়েকজন মিলে কিশোরটিকে ‘লাঠিয়ে পেটান’।
স্থানীয় লোকজন কিশোরটিকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভর্তি করাতেও ‘বাধা দেন’ রেজাউলসহ তার লোকজন। তবে স্কুলছাত্রের স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি করান।
তবে চিকিৎসা খরচের নামে টাকা দিয়ে ঘটনা মিটমাট করারও প্রস্তাব দেন বলে জানিয়েছে নির্যাতিত ছাত্রটি।
নির্যাতিত ছাত্র বলেন, “আমাকে সম্পূর্ণ বিনা দোষে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মেরেছে। আমি এর বিচার চাই।”
নির্যাতিতর মা বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। আমাদের আল্লাহ ছাড়া আর কেই নেই। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এভাবে মারধর করার বিচার আমরা চাই। যাতে আর কাউকে যেন এভাবে আর মারতে না পারে।”
তবে এ বিষয়ে রেজাউল করিম ভাষাইর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।