রোববার কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসনের সরকারি অর্থায়নে কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামে এ প্যাকেজিং কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
আগামী পহেলা জানুয়ারি থেকে এ কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে। আর সেদিন থেকেই এই ৫৮ জন ভিক্ষুকের ভিক্ষে ছেড়ে চাকরি জীবনও শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের প্রথম দিনেই চৌরখুলী গ্রামের ৫৮ ভিক্ষুক চাকরিজীবী হিসেবে পরিচিত পাবেন। তাদের চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা হবে ভিক্ষুক। চাকরিপ্রাপ্তীর সাথে সাথে তাদের ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়তে হবে।
তিনি জানান, কোটালীপাড়ায় প্যাকেজিং কারখানাতে উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে সরকারি অর্থায়নে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
সবার সহযোগিতায় গত ২ ডিসেম্বর চৌরখুলী গ্রামে এ কারখানার জমি নির্বাচন করেন তারা।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, চৌরখুলী গ্রামের এই ৫৮ নারী-পুরুষ ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত। বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাদের এ পেশা থেকে সরিয়ে আনা যায়নি।
সরকারি অর্থায়নের এ প্যাকেজিং কারাখানায় ভিক্ষুকদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে গত ২ ডিসেম্বর চৌরখুলী গ্রামে মতবিনিময় সভা হয়। এলাকাবাসী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।
“তারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে সম্মতি দিয়েছে।”
কুশলা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল বলেন, এ ক্ষুদ্র উদ্যোগ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস।
চৌরখুলী গ্রামের ভিক্ষুক রাবেয়া, আমিনা, সাহানা বলেন, তারা আর ভিক্ষা করতে চান না।
এতদিন কোনো ভাল কাজ পায়নি বলে ভিক্ষা করছেন। উপজেলা প্রশাসনের এ কারখানায় চাকরি করে সম্মানের সাথে বাঁচতে চান বলে জানান তারা।