অভিযোগকারীদের দাবি, এ কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম অন্যের এফএফ নম্বর ব্যবহার করেছেন।
এছাড়া বাছাইয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেওয়ার অভিযোগও করছেন তারা।
মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আনাম রন্জু জানান, বগুড়া সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটির সভাপতি করা হয় আমিনুল ইসলাম ঝন্টুকে।
“তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন।”
মাদারীপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শম্ভু নাথ পাণ্ডের ভারতীয় তালিকায় ৬৪৭০ এফএফ নম্বর ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে বলেন তিনি।
সেজন্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিতে পারে শঙ্কায় গত ২২ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আকম আকমল হোসেনের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।
জেলার ডিসি জিয়াউল হক বলেন, “মন্ত্রী মহোদয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে অভিযোগটি তদন্তের জন্য সদর নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
এ তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিভাগে বিষয়টি পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল হককে ফোন করা হলেও ধরেননি তিনি।
তবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি আমিনুল হক ঝন্টু বলেন,“আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করছে, প্রমাণ চাইলে তদন্তকালে দেব।”
এদিকে, কমিটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
বগুড়া শহরের চামেলী বেগম জানান, সভাপতি আমিনুল ইসলাম তার স্বামী সাহেদের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। অথচ, সব কাগজপত্র রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক দুলাল বলেন, সাহেদ প্রকৃত মুক্তিষোদ্ধা। কেন বাদ পড়ল জানি না।