তবে আমদানিকারক সমিতির দাবি ‘একটি মহল গাড়িগুলো নিলামে তোলার পরিস্থিতি সৃষ্টির’ চেষ্টা করছে।
মোংলা কাস্টমস হাউজের কমিশনার হোসেন আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বন্দরে এখন সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পড়ে রয়েছে। গাড়িগুলো সময়মত খালাস না হওয়ায় জট সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে এক হাজার গাড়ি নিলামের অপেক্ষায় আছে। জট কমাতে বেশি বেশি নিলামের জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গত ৩০ নভেম্বর নিলামের সাড়ে চারশ দরপত্র বিক্রি হয়েছে।”
বন্দরে গত দুই সপ্তায় এক হাজারের বেশি গাড়ি আমদানি হয়েছে জানিয়ে তিনি জানান।
তবে পুরোনো ও ব্যবহৃত গাড়ি আমদানিকারকদের সমিতি বারভিডার সভাপতি আব্দুল হক দাবি করেছেন, “করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বাজারে গাড়ির চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। বন্দরে আমদানি করা গাড়ি পড়ে থাকার এটাই বড় কারণ।
“গাড়ি জটের বিষয়টিকে বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে। বন্দরে পাঁচ হাজার গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। সব সময় সেখানে পাঁচ হাজার গাড়ি থাকে। এখন একটি মহল নিলামে তোলার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে গাড়ি জটের আলোচনা সামনে নিয়ে এসেছে।”
তিনি বলেন, “এমন কিছু হলে আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ৪০০ থেকে ৫০০ গাড়ি রয়েছে যেগুলো নানা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে। জটিলতা নিরসনের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। সেখানে সমাধান না হলে নিলামে তোলা যেতে পারে। এর আগে এ ধরনের কাজে হাত দিলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”