সোমবার রাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের ওই যুবককে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি উপজেলার পাজরভাঙা গ্রামের দিলশাদ আলী মণ্ডলের ছেলে।
‘করাত কলে পরিবেশ দূষণের প্রতিবাদ করায়’ নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ওইদিনই সন্ধ্যায় ওই শিক্ষক (৫৫) বাদী হয়ে এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করেন।
তিনি বলেন, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা ও নির্যাতন চালান করাতকলের মালিক দিলশাদ আলী মণ্ডলের দুই ছেলে এরশাদ আলী মণ্ডল, আব্দুর রাজ্জাকসহ তাদের সহযোগীরা।
নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে ফেলে বলে তিনি মামলায় অভিযোগ করেন।
পরে গ্রামবাসী ও আত্মীয়-স্বজনরা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন বলে এই শিক্ষক জানান।
তবে করাত কলের মালিক দিলশাদ আলী মণ্ডল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দিলশাদ আলী মণ্ডল বলেন, আইন মেনে তার করাত কল করা হয়েছে। প্রায় ৩৫ বছর ধরে পাজারভাঙ্গায় মিলটি চালিয়ে আসছেন তারা। কোনো দিনই কারো সমস্যা হয়নি।
ওই শিক্ষকের জামাতার কাছে পাওনা রড সিমেন্টের চার লাখ ৫৬ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দিলশাদের দাবি।
সেদিন তাদের মধ্যে হাতাহাতি হলেও ওই শিক্ষককে ‘বিবস্ত্র’ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই করাত কল মালিক দিলশাদ আলী।
মান্দা থানার ওসি শাহীনুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয় গত বুধবার। পরে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ওই শিক্ষক বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় মামলা করেন।
মামলার অন্যতম আসামি এরশাদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি শাহিনুর রহমান।