মঙ্গলবার রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান আসামির উপস্থিত এ রায় দেন।
দণ্ডিত রিয়াদ প্রধান (২৪) পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের মমিন প্রধানের ছেলে।
এছাড়া এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এক নারীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মাফজিয়া হাসান দিবামণি মামলার বরাতে জানান, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী এক শিশু ২০১৬ সালের ১৪ জুন বিকালে বাড়ির সামনের গাছ বাগানে খেলা করছিল। এ সময় প্রতিবেশী রিয়াদ মেয়েটিকে আম খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ সময় শিশুটি চিৎকার শুরু করলে রিয়াদ তাকে শ্বাসরাধে হত্যা করে এবং বাড়ির গৃহকর্মী ধলি বেগমের (৫০) সহায়তায় সিমেন্টের বস্তায় ভরে লাশ খাটের নিচে গর্ত খুঁড়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখেন। ওইদিন চুমকির কোনো খোঁজ না পেয়ে পুরো গ্রামে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এর তিনদিন পর ১৭ জুন সকালে পুলিশ রিয়াদের বাড়ির খাটের নিচ থেকে চুমকি লাশ উদ্ধার করে।
তদন্ত শেষে একই ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু করে আদালত।