এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন বিভাগের মহাপরিদর্শক (আইজিআর) বরাবর লিখিত আবেদন করেছে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতি।
তবে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার খাযরুল বাশার পাভেল তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গোসাইরহাট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রে অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোখলেছুর রহমান রাঢ়ী, স্থানীয় শহীদুল ইসলাম ও অনিল কর্মকার জানান, ২০১৯ সালের ৪ জুন গোসাইরহাট উপজেলা সাব- রেজিস্ট্রার খায়রুল বাশার ভুইয়া পাভেল যোগদান করেন। এরপর থেকেই ঘুষ, দুনীতিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
মোখলেছুর রহমান রাঢ়ী বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার পাভেল অছিয়ত, আমমোক্তারনামা দলিল করার ক্ষেত্রে নগদ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা না দিলে কোনো দলিলে স্বাক্ষর করেন না।
“তিনি তার টেবিলের ড্রয়ারে দলির রেখে খাস কামরায় চলে যান। পরে অফিসের কর্মচারীসহ অন্য লোকজনের মাধ্যমে উৎকোচ নিয়ে দলিলে স্বাক্ষর করেন। চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারলে দলিল হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি ও তার কর্মচারীরা।”
স্থানীয় হাজী আবদুর জব্বার দেওয়ারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, সরকারের নিধার্রিত ফি জমা দেওয়ার পর প্রতিটি দলিলে ১ থেকে ২ শতাংশ করে নগদ টাকা না দিলে তিনি দলিল আটকে রাখেন।
উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রে অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোখলেছুর রহমান রাঢ়ী বলেন, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর এই কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতা, ঘুষ গ্রহণ, নিয়মিত অফিস না করাসহ নানা অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করে আইজিআর বরাবরে লিখিত আবেদন করে গোসাইরহাট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতি।
কিন্তু দলিল লেখক ও সাধারণ সেবা প্রত্যাশীরা কোনো প্রতিকার পাননি বলে মোখলেছুর রহমান রাঢ়ীর অভিযোগ।
এই ব্যাপারে গোসাইরহাট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মানিক দত্ত বলেন, “আমাদের বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার খায়রুল বাশার পাভেল এখানে যোগদানের পর থেকে অফিস ঘুষ, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।”
গোসাইরহাট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার খায়রুল বাশার পাভেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার অফিসে কোনো অভিযোগ থাকলে তারা আমাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানাবে। আমাকে না জানিয়ে দলিল লেখকদের অন্দোলন করে কী লাভ হবে?”