তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার না করলেও কৃষকরা এখনও বিল করেননি বলে জানান।
এদিকে, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তোফায়েল আহম্মদ চৌধুরী।
মাল্টা চাষি নাজিম উদ্দিন বলেন, “মাল্টা গাছ প্রতি ৬০ টাকা বরাদ্ধ হলেও কৃষকদের ১০-১৫ টাকার নিম্নমানের চারা সরবারহ করা হয়েছে। এর বেশিরভাগ গাছ মরে যাচ্ছে; যেগুলো বড় হচ্ছে সেগুলোরও ফলন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা।”
কৃষক আবুল কালাম বলেন, “সাইট্রাস প্রকল্পের সুবিধাভোগী ৯০ জন কৃষককে প্রায় সোয়া ৫ লাখ টাকার চুন, সার আর পরিবহন বিলসহ সরঞ্জামাদি দেওয়াই হয়নি।”
কাগজে-কলমে সুবিধা পাওয়া মনসুর আহমেদ নামে এক কৃষক বলেছেন, প্রকল্পের সুবিধাভোগীর তালিকায় তার ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হলেও ছবি ও স্বাক্ষর তার নয়।
ফুলগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সব অভিযোগের দায় তার অধীনস্থদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন।
ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তোফায়েল আহম্মদ চৌধুরী বলেন, “এসব অভিযোগ আগে কখনও আমাদের নজরে আসেনি। বিষয়টি মাত্র অবগত হলাম। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”