২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর আইনজীবী সমিতির দুই নম্বর হল রুমে জেএমবির বোমা হামলায় চার আইনজীবীসহ ৯ জন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী।
এই আদালতের আইনজীবী ও নিহতদের স্বজনরা ওই ঘটনায় সব মামলার দ্রুত রায় এবং রায় হওয়া মামলার আসামিদের ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
ওইদিনের নিহতদের স্মরণে রোববার নানা আয়োজন করা হয়েছে গাজীপুর জেলা আদালত প্রাঙ্গণে।
বাকি তিনটি মামলা এখনও গাজীপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এ বিচারাধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
গাজীপুর আদালতের জিপি আমজাদ হোসেন বাবুল বলেন, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিম, অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা ও অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক অভি।
বিচারপ্রার্থী আব্দুর রউফ, বশির মেম্বার, শামসুল হক ও মর্জিনা বেগম মারা যান।
আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী জেএমবি সদস্য শরিয়ত উল্লাহ ওরফে আসাদুল ইসলামও মারা গেছেন।
ওই ঘটনায় আহত আইনজীবী জেবুন্নেছা মীনা বলেন, “আত্মঘাতী বোমা হামলায় আমার গায়ে এখনও ১১টির মত বোমার স্প্লিন্টার রয়েছে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছি না। আগের মতো আদালতেও প্র্যাকটিস করতে পারছি না।”
তিনি চিকিৎসার জন্য সরকারি সহয়তা চেয়েছেন।
ওই ঘটনায় মামলার দ্রুত রায় ও রায় হওয়া মামলার আসামিদের দ্রুত কার্যকর করার দাবিও জানান এই আইনজীবী।
দিনটি স্মরণে নানা আয়োজন
এই দিবসটি স্মরণ করতে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন প্রাঙ্গণে ওই বোমা হামলায় শহীদদের স্মরণে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘স্মৃতি শিখা অনির্বাণ’-এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এছাড়া জেলা আইনজীবী সমিতির ভবন প্রাঙ্গণে শহীদ আইনজীবীদের স্মরণে ও আহত আইনজীবীদের সুস্থতা কামনায় শোকসভা, মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ বেগম মমতাজ বেগম, জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, আইজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুস সোবহান, সাধারণ সম্পাদক জাকির উদ্দিন আহমদসহ হতাহতদের পরিবারের সদস্যরা ওই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।