ঢাকার যুবক ঝালকাঠিতে নিহত: শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

ঝালকাঠিতে ঢাকার মোহাম্মদ আজিজুল হক নিহত হওয়ার ঘটনায় এক শিক্ষিকা ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2020, 05:41 PM
Updated : 28 Nov 2020, 05:41 PM

ঝালকাঠির রাজাপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে ঝালকাঠি শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা হলেন- রাজাপুর উপজেলার মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূরুন্নাহার সুমি ওরফে মায়া (৩১) ও তার বাবা মো. শহিদুল বিশ্বাস (৫৯)।

তারা উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চরপালট গ্রামের বাসিন্দা। রাজাপুর শহরের আদর্শপাড়া হাইজ্যাকমোড় এলাকার হাজি ম্যানসনের সামনে ভাড়া থাকেন।

শুক্রবার ওই বাসার সামনে থেকে আজিজুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৩৮ বছর বয়সী আজিজুল ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

আজিজুলের ছোট ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম সোহেল শনিবার রাতে রাজাপুর থানায় সুমি ও তার বাবাকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তিনি বলেছেন, আজিজুল এটিএন নিউজ নামের একটি বেরকারি টিভি চ্যানেল চাকরি করতেন। গত তিন মাস ধরে অসুস্থ হয়ে বাসায় ছিলেন আজিজুল। ছয় বছর ধরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালে শিকিক্ষা সুমি পায়ের চিকিৎসা নেন। সে সময় আজিজুলের সঙ্গে সুমির পরিচয় হয় এবং তা উভয় পরিবারের মধ্যে সু-সম্পর্কে গড়ায়।

মামলার নথিতে বলা হয়েছে, ঘটনার আগের সন্ধ্যায় সুমির সঙ্গে আজিজুলের মোবাইল ফোনে কথা হয়। তার কিছুক্ষণ পরে সুমির হবু বর পরিচয়ে এক ব্যক্তি আজিজুলের মাকে ফোনে ফোন করেন। ওই ব্যক্তি আজিজুলকে ঝালকাঠিতে যেতে নিষেধ করেন। আজিজুলের মাকে ফোনে হুমকিও দেন ওই ব্যক্তি। তবু রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে আজিজুল ঈগল পরিবহনের একটি বাসে করে রওনা হয়ে পরদিন সকালে রাজাপুর উপজেলার হাইজ্যাক মোড়ে সুমিদের ভাড়া বাসায় যান।

সে সময় সুমির বিয়ের কথা নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে আজিজুলকে কৌশলে তিনতলার ছাদ থেকে নিচে ফেলে হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগে করা হয়েছে।

ওসি শহিদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনার পর থেকে সুমি ও তার বাবাকে ওই বাসায় পাওয়া যায়নি। তাদের শনিবার সকালে ঝালকাঠি শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।