ফেনীতে আদালতের নথি চুরি, দণ্ডিতের ফের কারাদণ্ড

ফেনীর একটি আদালত থেকে নিজের মামলার নথি চুরির দায়ে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড হয়েছে, যিনি আগেও একটি প্রতারণার মামলায় দণ্ডিত ছিলেন।

নাজমুল হক শামীম ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2020, 03:16 PM
Updated : 26 Nov 2020, 03:16 PM

বৃহস্পতিবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইন আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত নুরুল হক ওরফে জামাল উদ্দিন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে।

রায়ে দণ্ডবিধির দুটি ধারায় জামাল উদ্দিনকে দুইবছর ও তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া তাকে আরও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে, যা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

নথি চুরির মামলার বাদী ও ফেনীর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের নাজির সামছুল কিবরিয়া বলেন, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ফেনী জেলা জজ আদালতের ৩০৮ নম্বর কক্ষের এজলাস থেকে সি আর-২৪৬/১২ ও ফৌজদারি আপিল মামলা নম্বর-৯৮/১৫ এর নথি চুরি করে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যান নুরুল হক ওরফে জামাল উদ্দিন।

পরে চুরির বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি নিজে বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন বলে সামছুল কিবরিয়া জানান।

তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার এসআই দুলাল মিয়া ওই বছরের ১১ এপ্রিল নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের সহায়তায় আসামির ঘর থেকে ওই নথি উদ্ধার ও জব্দ করেন। পরে তিনি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এই মামলায় আসামি নুরুল হক ওরফে জামাল উদ্দিনের সহোদর ভাই ও তার গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ মোট নয় জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন এপিপি সৈয়দ আবুল হোসেন ও আসামীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল হক ছিলেন।

প্রতারণার মামলার বরাতে আদালতের নাজির সামছুল কিবরিয়া জানান, সৌদি আরবে লোক নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নুরুল হক ওরফে জামাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী কয়েকজন থেকে টাকা নেন। পরে সে টাকা ফেরত না পাওয়ায় ভূক্তভোগী একজন সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জামালের ছয় বছর ও তার স্ত্রীর তিন বছর কারাদণ্ড হয়। একই সঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

নথি চুরির মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রতারণার মামলার রায় ঘোষণার পর জজ আদালতে আপিল শর্তে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান জামাল উদ্দিন। পরে পরিচয় গোপন করে আদালত থেকে তার মামলার ও আপিল নথি চুরি করে নিয়ে যান নুরুল হক ওরফে জামাল উদ্দিন।