সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহউদ্দিন জানান, বুধবার সকালে উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রাম থেকে পারভিন আক্তারের (২৪) লাশ উদ্ধার করা হয়।
পারভিন রাজনগর গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী এবং রাজনগর গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের মেয়ে ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ পরভিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, ভোরের কোনো এক সময়ে ওই গৃহবধূকে নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।“
লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিজুল ইসলাম জানান, পারভিনের ৫ বছর বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। তার স্বামী স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে শ্বশুর বাড়িতে থাকত। পারভিনের লাশ উদ্ধারের পর থেকে খালেককে খুঁজে না পাওয়া গেলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে তারা খালেককে ভাটপাড়া এলাকা থেকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
পারভিনের ভাই তরিকুল ইসলাম বলেন, তার বোনের সঙ্গে ২০১৩ সালে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের মোজাম কারিকরের ছেলে খালেকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানাভাবে সে বোনকে নির্যাতন করত।
তিনি বলেন, “সাতমাসের গর্ভবতী পারভিনের মরদেহে কাটা দাগ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।”
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের এবং লাশ ময়নাতদন্ত করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।