মঙ্গলবার ভোরে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের এক বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বড়াইগ্রাম থানার ওসি।
এসিডে দগ্ধ নার্গিস আক্তার (৩০) নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে এবং তার স্বামী আবু তালেব (৪০) একই উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের রাহাত আলীর ছেলে।
নার্গিসকে সোমবার রাতে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে এখনও মামলা হয়নি। তবে খবর পাওয়ার পরপরই আবু তালবকে ধরতে পুলিশ তৎপর হয়। রাতে আহম্মদপুর গ্রামের এক বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।
নার্গিসের বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, কয়েক বছর আগে তালেবের সাথে তার মেয়ে নার্গিসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। নানা কারণে তার মেয়েকে মারপিট করতেন তার জামাই। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক সপ্তাহ আগে নার্গিস তার স্বামীকে তালাক দেন।
“তালাকের নোটিশ পেয়ে আবু তালেব প্রতিশোধ নিতে তৎপর হয়।”
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, গত সোমবার সন্ধ্যার পরপর তালেব গোপনে আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে নার্গিসকে বাইরে ডাকেন। বাইরে আসার সাথে সাথে নার্গিসের শরীরে এসিড ছুঁড়ে পালিয়ে যান তালেব।
নার্গিসের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। সেখান থেকে রাতেই তাকে ঢাকায় নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে বলেন আনোয়ার হোসেন।