সোমবার খুলনা জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
দণ্ডিত আমীর আলী মীর ওরফে কাউসার (৪২) খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের আফসার আলী মীরের ছেলে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক বলেন, রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের ইউসুফ সরদারের ছেলে ভ্যানচালক ইমরান সরদারের (৪২) শ্যালিকা লতার সঙ্গে পাশের তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের কাউসারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
“ঘটনাটি ইমরান জানতে পেরে শ্যালিকা লতার সঙ্গে মিশতে কাউসারকে বাধা দেন। এতে কাউসার ইমরানের ওপর ক্ষুব্ধ হন।”
পরদিন সকালে নন্দনপুর-জোয়ালবাঁধাল রাস্তার পাশে একটি সুপারি বাগানে ইমরানের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
এনামুল বলেন, এই ঘটনায় নিহত ইমরানের বাবা ইউসুফ সরদার বাদী হয়ে রূপসা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
“পরে পুলিশ কাউসারকে গ্রেপ্তার করলে তিনি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।”
তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয় বলে মামলায় বলা হয়, বলেন এনামুল।
এনামুল আরও জানান, একই বছরের ২ জুলাই রূপসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুর রহমান কাউসারকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন্য সাক্ষ্য দিয়েছেন।