বুড়িমারীতে পুড়িয়ে হত্যা: আরও ২ জন গ্রেপ্তার

লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে ‘ধর্ম অবমাননার গুজব’ ছড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

লালমনিরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2020, 07:49 AM
Updated : 23 Nov 2020, 07:49 AM

রোববার রাতে বুড়িমারী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা গোয়েন্দার (ডিবি) ইনচার্জ ওমর ফারুক।

গ্রেপ্তাররা হলেন, পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আউলিয়ারহাট কামাতপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাবলা (২৬) এবং একই উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা সোনারভিটা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে জিএম মানিক (৪৫)।

গত ২৯ অক্টোবর বুড়িমারীতে ‘ধর্ম অবমাননার গুজব’ ছড়িয়ে আবু ইউনুছ মো.সহিদুন্নবী জুয়েল নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

ওসি ওমর ফারুক বলেন, সহিদুন্নবী জুয়েল হত্যাকাণ্ডের সময় পুলিশের ওপর হামলা এবং ইউপি ভবনে হামলার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে বাবলা ও মানিককে রোববার রাতে বুড়িমারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

“দুইটি মামলার তদন্তে ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।”

এ হত্যার ঘটনায় পুলিশের করা তিনটি মামলায় এ নিয়ে ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ বলেন তিনি।

২৯ অক্টোবর বুড়িমারী কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদে ‘ধর্ম অবমাননার’ গুজব ছড়িয়ে জুয়েল এবং তার সঙ্গী সুলতান জোবায়ের সুমনকে দলবেঁধে পিটুনি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটকে রাখে স্থানীয়রা।

পরে সন্ধ্যায় ইউপি ভবন ভেঙে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে তারা। এ সময় পাথরের আঘাতে পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্তসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন।

পরে পুলিশ জুয়েলের সঙ্গী জোবায়ের সুমনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়।