“মাসুদের শরীরের ৩০ শতাংশ ও ছেলের শরীর ২৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। মাসুদের অবস্থা আশংকাজনক। তবে ছেলে আব্দুল রাশেদ শংকামুক্ত।”
কুষ্টিয়ায় লাঠিখেলায় মুগ্ধ গ্রামবাসী
কুষ্টিয়ার মিরপুরে গ্রামবাংলার বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Published : 22 Nov 2020, 05:45 PM
Updated : 22 Nov 2020, 05:45 PM
রোববার দুপুরে উপজেলার বলিদাপাড়া-বাড়–ইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বারাতালা স্পোর্টিং ক্লাব এই খেলার আয়োজন করে।
দিনব্যাপী উৎসবমুখর লাঠিখেলা দেখতে ভিড় করেছে আশপাশের গ্রাম থেকে আসা নারী-পুরুষসহ সকল বয়সের মানুষ।
কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় ধান কাটা শেষ করে গ্রামীণ উৎসবের আয়োজন হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই এই জাতীয় বার্ষিক অনুষ্ঠান চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকাতায় এই লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাদ্যের তালে তালে ঘুরছে লাঠি। লাঠিয়ালদের কলা-কৌশলও নজরকাড়া। শক্ত হাতে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে নানা কৌশলে লাঠি চালিয়ে যাচ্ছেন্।
আয়োজক বারাতালা স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি তুফান আলী বলেন, গ্রামবাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বাঙালির রক্তে মিশে আছে এই লাঠিখেলা, যা কালের আবর্তে এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
“আমরা আমাদের এই স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে প্রতিবছর লাঠিখেলার আয়োজন করে খেলাটি টিকিয়ে রাখতে চাই।”
এই আয়োজনে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন বেসরকারি সংস্থা দিশা।
দিশার নির্বাহী পরিচালক রবিউল ইসলাম খেলাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
অনুষ্ঠানে রবিউল ইসলাম বলেন, এটি কেবল লাঠিখেলা নয়, বরং নানা রকম শারীরিক কসরতও বটে। বাঙালি জীবনের ঐতিহ্যবাহী যেসব সংস্কৃতি ও গ্রামীণ খেলাধুলা কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে, তার অন্যতম একটি লাঠিখেলা। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে খেলাটিকে রক্ষা করতে সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার।
এই খেলায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিয়াল দল হিসেবে স্থানীয় হাজরাহাটি ও কবরবাড়ীয়া দল অংশ নেয়।
এ সম্পর্কিত খবর
রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বিদ্যাময়ী স্কুলের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।
মোখলেছকে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কিশোরগঞ্জ পুলিশ।
২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর আদালত পাঁচ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়; একইসঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
