রোববার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সমীর মল্লিক এই আদেশ দেন।
বাগেরহাট আদালত পুলিশ পরিদর্শক দিলীপ সরকার জানান, একই আদালতে সুজন খান এবং অন্য দুই সন্দেহভাজন চাচা রিপন খান ও ফুফা হাসিব শেখের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতির আবেদনে কোনো আদেশ হয়নি। এই আবেদনের শুনানির দিন সোমবার ধার্য করেন এই বিচারক।
গত রোববার (১৫ নভেম্বর) রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের জেলে সুজন খানের বাড়ি থেকে বাবা-মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকা ১৭ দিনের শিশু সোহানা নিখোঁজ হয়। দুদিন পর তার লাশ পাওয়া য়া।
ওইদিন দুপুরে পুলিশ শিশুটির বাবা সুজন (৩০), চাচা রিপন এবং ফুফা হাসিবকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরিদর্শক দিলীপ সরকার বলেন, সোহানার বাবা সুজন খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক ঠাকুর দাস মন্ডল মামলার এই তিন আসামির ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। আদালত এই আবেদনের শুনানির দিন সোমবার ধার্য করেছেন।
পরিদর্শক (তদন্ত) ঠাকুর দাস মন্ডল বলেন, এই মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সুজন খান পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা এখনও স্বীকার করেনি।
“প্রাথমিক তদন্তে সোহানাকে হত্যার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা পেয়েছি। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সুজনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।”
সুজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং এই জিজ্ঞাসাবাদে সোহানা হত্যার মূল কারণ জানা যাবে বলে ধারণা করছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
১৫ নভেম্বর সোহানা নিখোঁজের পরদিন তার দাদা আলী হোসেন খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ মামলা করেন। ঘটনার দুইদিন পর সোহানা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: