বন্দর থানার ওসি ফখরুদ্দীন ভুঁইয়া জানান, শুক্রবার ফরাজীকান্দা এলাকায় এই নবজাতকের মৃত্যু হয়। তার বাবা ওই এলাকার লাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি।
লাল মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি একটি আটার কারখানায় কাজ করেন। তার স্ত্রী কাজ করেন পোশাক কারখানায়।
“অভাবের সংসারে শিশুটির ভরণপোষণ সম্ভব নয় ভেবে আমরা তাকে খালের পাড় ফেলে রেখে আসি।”
ওই এলাকার সজীব মিয়া নামে এক ব্যক্তি নবজাতককে খালপাড়ে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করেন।
সজীব বলেন, তিনি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় খালের পাড়ে নবজাতকের কান্না শুনতে পান। পরে কাপড়ে মোড়ানো নবজাতককে উদ্ধার করে বন্দর থানায় নিয়ে যান।
তারপর পুলিশ তাকে হাসপাতালে পাঠায়।
ওসি ফখরুদ্দীন বলেন, নবজাতককে উদ্ধারের পর স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তার বাবা-মাকে খুঁজে বের করা হয়। কিন্তু নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
“কেন তারা নবজাতককে ফেলে দিয়েছিলেন তা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।”