এটি ‘বঙ্গবন্ধু চর’ বলে পরিচিতি পেয়েছে বলে জানালেও বনবিভাগ বলতে পারেনি কে এই নাম রেখেছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ বলেন, “নীলকমল অভয়ারণ্য কেন্দ্রের আওতায় রয়েছে চরটি। প্রায় ১০ বছর আগে বনবিভাগের দৃষ্টিগোচর হয়।
“কে কবে চরটির নামকরণ ‘বঙ্গবন্ধু চর’ করেছে তা বলতে পারেন না বন কর্মকর্তারা। তবে আমরা শুনেছি জেলেরাই প্রথম চরটির অস্তিত্ব আবিষ্কার করে। এরপর কেউ হয়ত চরটির নামকরণ করেছেন বঙ্গবন্ধু চর। চরটি ওই নামেই পরিচিতি পেয়েছে।”
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু চরের আয়তন প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার। এরই মধ্যে এ চরে ম্যানগ্রোভ বনের বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ জন্মাতে শুরু করেছে। দেখে মনে হচ্ছে আয়তন আরও বাড়বে।
“কেউ যেন বনের ক্ষতি করতে না পারে এ কারণে সেখানে টহল ফাঁড়ি করা হবে। স্থানটি বনবিভাগের নীলকমল অভয়ারণ্য কেন্দ্রের আওতায় তদারক করা হত। চরে স্থাপিত ফাঁড়িটিও ওই কার্যালয়ের আওতায় থাকবে।”
সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, “বঙ্গবন্ধু চরটি বেশ দুর্গম। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ সেখানে যেতে চান না। সচিব জিয়াউল হাসান প্রথম চরটি পরিদর্শন করে ভূ-প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
“চরটিতে যেন জীববৈচিত্র্যের পরিবেশ অক্ষুণ্ন থাকে এবং কেউ যাতে ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য সেখানে টহল ফাঁড়ি করার নির্দেশ দিয়েছেন সচিব জিয়াউল হাসান। তার নির্দেশনা অনুযায়ী ফাঁড়ি বসানোর কাজ চলছে।”
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান গত ১৪ নভেম্বর চরটি পরিদর্শন করেন।