সোহানা আক্তার নামের ওই শিশুটির বাবা সুজন খান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় জেলে।
সুজনের পাশাপাশি শিশুটির চাচা রিপন খান এবং ফুফা হাসিব শেখকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ।
তাদের মধ্যে সুজনকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, সোহানার বাবা সুজন খান এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন। তাই সুজন খানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
শিশুটির চাচা রিপন খান ও ফুফা হাসিবকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “তবে এ দুইজনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। সেজন্য অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।”
কী কারণে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “শিশুটির বাবাকে আরও জিজ্ঞাসাদ করা গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।”
গত রোববার রাতে বাবা-মায়ের পাশ থেকে ‘উধাও’ হয়ে যায় শিশুটি। পরদিন সকালে সোহানার দাদা আলী হোসেন খান অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় অপহরণের মামলা করেন।
এরপর বুধবার সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সুজন খানের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে সোহানার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।