মঙ্গলবার বিকালে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ।
বুধবার সকাল থেকে কোনো বাস ছাড়েনি। শুধু ঢাকা থেকে যেসব বাস এসেছিল সেগুলো ছেড়ে গেছে। এছাড়া শ্রমিকদের মালিকানাধীন কয়েকটি বাস অভ্যন্তরীণ কয়েকটি রুটে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বাস চলাচল না থাকায় অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যাত্রীরা দূর্ভোগে পড়েছেন।
জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, বাসে চাঁদাবাজি ও অভ্যন্তরীণ দুটি সড়ক ‘নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিক গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল।
“শ্রমিক নেতারা নওগাঁ, পাবনা ও কিশোরগঞ্জ রুট দখলের চেষ্টা করলে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারন করে। এই দ্বন্দ্বের কারণে বাধ্য হয়ে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।”
দ্বন্দ্ব নিরসন না হওয়া পর্যন্ত সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এসএম মতিউজ্জামান মতি বলেন, বাস মালিকদের সঙ্গে তাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। পাবনা ও কিশোরগঞ্জ রুটে নওগাঁ জেলার কোনো পরিবহন ছিল না। এতে শ্রমিকরা বঞ্চিত হয়ে আসছে।
“ওই রুটগুলোতে আমরা দুটি বাস চালু করেছি। কিন্তু মালিকরা সেটা না করতে দেওয়ায় অভ্যন্তরীণ দুটি রুটে ওই দুটি বাস আমরা চালাতে শুরু করেছি। এতে মালিকপক্ষ ক্ষুন্ধ হয়ে বাস বন্ধের সিন্ধান্ত নিয়েছে, যা অযৌক্তিক।”
এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি পরিবহন মালিক গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বিষয়টি সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন।