এ ঘটনায় বুধবার ফেনী সদর নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে ওএমএস-এর ওই ডিলারশিপটি বাতিলের জন্য জানাবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে শহরের পশ্চিম ডাক্তার পাড়ায় ওই ডিলারের হাজেরা ম্যানশনের বাসায় অভিযান চালিয়ে নয় বস্তা চাল এবং ২০টি খালি বস্তা উদ্ধার করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম।
তবে ‘আত্মগোপনে চলে যান’ ফেনী পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সরকার অনুমোদিত ডিলার নবী আলম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল বলেন, অভিযানে জব্দকৃত চালের বস্তাগুলো খাদ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তরর করা হবে। একই সাথে অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এ তথ্যের সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাতে ডিলার নবী আলমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে তার মালিকানাধীন হাজেরা ম্যানশনের নিচতলা থেকে ৩০ কেজি ওজনের নয় বস্তায় মোট ২৭০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ওই ঘর থেকে আরো ২০টি খালি বস্তা জব্দ করা হয়।
“তবে অভিযানের তথ্য পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায় ডিলার নবী আলম।”
তিনি জানান, স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানতে পারেন নবী আলম সরকারি চাল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি না করে তার বাসায় এনে মজুত করতেন। এখানে বস্তা পরিবর্তন করে বেশি দামে অন্যত্র বিক্রি করে দিতেন।
ফেনী সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য পরিদর্শক মো. শাহীন মিয়া জানান, সরকারি চাল বাসায় মজুত করার কোনো নিয়ম নেই। ডিলাররা নির্ধারিত স্থানে চাল বিক্রি করবে খাদ্য বিভাগের নিয়ম।
সরকারি চাল বাসায় রাখা প্রসঙ্গে ডিলার নবী আলমের স্ত্রী হাজেরা বেগম বলেন, এলাকার গরিব আত্মীয় স্বজনদের কাছে বিক্রির জন্য এসব চালগুলো বাসা আনা হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের এক প্রতিবেশী জানান, এর আগেও নবী আলমকে সরকারি চাল নিয়ম বহির্ভূত বিক্রির দায়ে আইনের আওতায় আনা হয়েছিল।