জেলার কালাই উপজেলার এই বাজারে মঙ্গলবার মেলাটি হয়। উৎসাহ নিয়ে কেনাকাটা করেন বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
কালাই পৌরসভার মেয়র তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় মেলায় ক্রেতা কিছুটা কম হছিল। তবু ভাল লেগেছে। নানা রকম জটিলতায় বাঙালির উৎসবগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের ঐহিত্য যেন হারিয়ে না ফেলি সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখা উচিত।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলা রুই, কাতলা, চিতল, শৌল, বোয়াল, সিলভার কার্প, বিগ্রেডসহ হরেক রকমের মাছ উঠেছে। এক কেজি থেকে শুরু করে ২০-২৫ কেজি ওজনের এসব মাছ ছাড়াও ছিল শিং, মাগুর, ট্যারা মাছের পসরা।
প্রতিবছর এই মেলা হয়। মেলায় উপজেলার মোলামগাড়ীহাট, কালাই, মাদারপুর, মাত্রাই, হাতিয়র, হারুঞ্জা, পাঁচগ্রাম, পুনট, বেগুনগ্রামসহ উপজেলার আশপাশের এলাকা থেকে আসেন প্রায় অর্ধশত মৎসজীবী। আর বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ কিনতে আসে সহস্রাধিক ক্রেতা।
সাইদুর রহমান নামে একজন বি্ক্রেতা বলেন, প্রচুর লোক হলেও বেচাকেনা সেই তুলনায় কম। করোনাভাইরাসের কারণে অনেকের হাতে টাকা-পয়সা নেই। তাছাড়া ধান কাটা-মাড়াই ও আলু রোপণে লোকজন ব্যস্ত আছেন।
বিক্রেতা মোজাম্মেল ও তাজুল ইসলাম জানান, মাছের দাম প্রতি কেজি রুই-কাতলা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, বিগ্রেড ও সিলভার কার্প ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, শিং-মাগুর ৪০০-৬৫০ টাকা।
দাম অনেকটা বেশি বলে মনে করেন উপজেলার মাদাই গ্রামের মন্সুর আলী, জালাইগাড়ির বেলাল হোসেনসহ অনেকে।