মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারে শরীয়তপুর জেলা স্টেডিয়ামে তার মরদেহ পৌঁছায়। সেখান থেকে গাড়িতে মরদেহ নেওয়া নড়িয়া উপজেলা সদরের বাড়ি স্বাধীনতা ভবনে।
সকাল ১১টার দিকে দিকে মরদেহ নড়িয়া উপজেলা শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধার জন্য প্রায় ২ ঘণ্টা রাখা হয়।
এই সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রিয় নেতার লাশ দেখার জন্য ভিড় জমান। এই সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের হিমশিম খেতে হয়।
বাদ জোহর নড়িয়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে ছয় বারের সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শওকত আলীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এই সময় পানিসম্পাদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম, শওকত আলীর স্ত্রী মাজেদা শওকত, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছেলে ডা. খালেদ শওকত, মেয়ে মেরিনা শওকত, শরীয়তপুরের সাবেক মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাভানা আক্তার, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জেলা প্রশাসক পাভেজ হাসান, পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৯ অক্টোবর তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শওকত আলী মারা যান।
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার লোনসিং বাহের দিঘীরপাড় গ্রামে ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন শওকত আলী।