মঙ্গলবার সকাল থেকে বগুড়া শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে শিবগন্জ উপজেলার উথলী গ্রামের এ মেলায় মাছের পাশাপাশি মিষ্টি, দই, নুতন চাল, নুতন আলু, চিরা, গুড় এসব খাবার-দাবার কিনতে হাজারও নারী পুরুষ ভিড় জমিয়েছে সেখানে।
পাশের জেলা জয়পুরহাট, গাইবান্ধা থেকেও অনেককে মেলায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।
উথলী নবান্নের মেলার ইজারাদার আল আমিনের আশা মেলায় এবার কোটি টাকার উপরে মাছ বিক্রি হবে।
বড় বড় রুই, কাতলা, বাঘাইর, চিতল, মৃগেল এমনকি সামুদ্রিক চিতল, করাল, চেরী মাছ উঠেছে মেলায়।
পাশের গাড়ীদহ কৃষ্টপুরের মাছ ব্যাবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি দুই লাখ টাকার মাছ এনেছেন। বাঘাইর প্রতি কেজি ছয়শ টাকা, মৃগেল চারশ টাকা করে বিক্রি করছেন।
মেলার অধিকাংশ মাছই পাঁচ থেকে ২৫ কেজি ওজনের জানিয়ে মোকামতলার অতুল চন্দ্র বলেন, কাতলা ৫২০ টাকা, সিলভার কাপ ৫শ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।
“বিক্রি ভালো হচ্ছে।”
দই বিক্রেতা গোপাল জানান, মেলায় মাছের পাশাপাশি দই অন্তত এক হাড়ি হলেও ক্রেতারা কেনে। বিক্রিও হচ্ছে অনেক।
নুতন আলু বিক্রেতা আব্দুল হামিদ বলেন, নবান্নে নুতন আলুর চাহিদা বেশি। বিশেষ করে সনাতন ধর্মের লোকেরা একশ গ্রাম হলেও কিনবে। নুতন আলু তাদের নবান্নের এক বিশেষ উপাদান।
চারশ টাকা কেজি দরে এ আলু বিক্রি করছেন হামিদ।
রিদম জানায়, সাত কেজি ওজনের রুই কিনেছে চার হাজার নয়শ টাকায়।
তিনি জানালেন, দই, মিষ্টি, নুতন আলু, মাটির জিনিস ও মাছ কিনেছেন। প্রতি বছরই মেলায় কেনাকাটা করতে আসেন তিনি।