ফেনীতে গৃহবধূ হত্যা: দেবর, ননদসহ তিনজন গ্রেপ্তার

ফেনীতে ‘যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে’ এক গৃহবধূকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2020, 04:15 AM
Updated : 17 Nov 2020, 05:37 AM

মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন।

গত সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ফাজিলপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত নিহত রাশেদা আক্তার (৩০) সদর উপজেলার দক্ষিণ ফাজিল পুর গ্রামের ওমান প্রবাসী রায়হান উদ্দিন রুবেলের স্ত্রী।

গ্রেপ্তাররা নিহতের দেবর রাশেদ উদ্দিন রনি, ননদ মাজেনা আক্তার এবং ননদের স্বামী নোমান উদ্দিন।

গ্রেপ্তারের আগে বিকেলে নিহতের বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে রাশেদার শাশুড়ি, দেবর ও ননদসহ সাত জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।

তার আগে সোমবার ভোরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদা মারা যান।

রাশেদার বাবা আবুল কালাম জানান, প্রায় দুই বছর আগে তার মেয়ে রাশেদার সাথে দক্ষিণ ফাজিলপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে প্রবাসী রায়হান উদ্দিন রুবেলের বিয়ে হয়।

জামাই বিদেশ থাকাকালীন তার মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে প্রায়ই যৌতুকের জন্য রাশেদাকে চাপ দিতে থাকে।

স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে দেবর রাশেদ উদ্দিন রনি বিভিন্ন সময় রাশেদাকে ‘অনৈতিক প্রস্তাব’ দিতেন।

গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য রাশেদাকে চাপ দেয় শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সবাই মিলে রাশেদাকে কিলঘুষি মারে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে তার মাথা ধরে দেয়ালের সাথে আঘাত করলে মারাত্মকভাবে আহত হয়।

এ ঘটনার পর প্রথমে এলাকার এক পল্লী চিকিৎসককে দেখানো হয়।

“খবর পেয়ে আমরা তাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে ফেনীর এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিকিৎসক পরামর্শ দেন।

“তাকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে রাশেদা মারা যায়।”

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গণি জানান, সোমবার দুপুরে মরদেহ বাড়ি আনলে খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের বাবার করা মামলার এজহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।