সোমবার বুড়াবুড়ি এলাকায় বাড়ির পাশে একটি পুকুরে তার লাশ পাওয়া যায় বলে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
প্রয়াত সুফিয়া বেগম (৪৫) ওই গ্রামের আব্দুল খালেকের দ্বিতীয় স্ত্রী।
লাশ উদ্ধারের পর থেকে সুফিয়ার স্বামী ও সতীন পলাতক রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই ওই নারীর স্বামী আব্দুল খালেক ও তার তৃতীয় স্ত্রী সালেহা খাতুনসহ (৩৮) পরিবারের অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছেন বলে জানান তারেক।
তিনি আরও বলেন, আব্দুল খালেকের পেশা মাছ ধরা। দিনে ও রাতে নদীতে স্ত্রীদের নিয়েই মাছ ধরতে যেতেন। সুফিয়ার কোনো সন্তান নেই। তিনি মাঝে মধ্যে পাথর শ্রমিকের কাজ করতেন। তার পরিবার সাধারণ ডায়েরি না করে খোঁজাখুঁজি করেছে।
তার মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক; তবে তাদের দাম্পত্য জীবনে কোনো কলহ ছিল বলে জানা নেই, বলেন তারেক।
প্রতিবেশীরা জানান, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর সুফিয়াকে বিয়ে করেন আব্দুল খালেক। সুফিয়ার কয়েক বছর পরে তিনি সালেহাকে বিয়ে করেন।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, লাশ দেখে বেশ কয়েকদিন আগের মনে হয়েছে। তাই ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তার পরিবারে লোকজন পলাতক রয়েছে। কেউ অভিযোগ না করলেও পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবে।