এরই অংশ হিসেবে রোববার দুপুরে বনের হাড়বাড়িয়া অঞ্চলে তিনটি কুমির ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
সোমবার সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, রোববার দুপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এবং উপ-বন সংরক্ষক কবির হোসেন পাটোয়ারী হাড়বাড়িয়ায় ওই তিনটি কুমির অবমুক্ত করেন।
“বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের ৯০টি কুমির অবমুক্ত করার কথা ছিল। এর অংশ হিসেবে রোববার তিনটি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট কুমিরগুলো সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হবে।”
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে কুমির প্রজনন করা হয়। প্রকৃতিতে কুমিরের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময়ে এসব কুমির ছানা বনের অভ্যন্তরের নদী ও খালে অবমুক্ত করাও হয়ে থাকে।
করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সুন্দরবনের নদী ও খালে এই ৯০টি কুমির অবমুক্ত করার কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে।
বিলুপ্তপ্রায় লবণপানির প্রজাতির এ কুমিরের প্রজনন এবং বংশ বিস্তারের উদ্দেশ্যেই ২০০২ সালে করমজলে কুমির প্রজননকেন্দ্র গড়ে তোলে বনবিভাগ।
গত রোববার তিনটি কুমির অবমুক্তির পর বর্তমানে প্রজনন কেন্দ্রে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯২টি কুমির রয়েছে। বাকি ৮৭টি অবমুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বলেন তিনি।