খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ বিরোধী সমাবেশে পুলিশের বাধা

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ও সমতলে ধর্ষণ, সহিংসতা ও নারী নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ডাকা এক প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ বাধা দিয়েছে।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2020, 09:01 AM
Updated : 15 Nov 2020, 09:01 AM

রোববার সকালে পুলিশের বাধার পরও শহরের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এ সমাবেশ শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সমাবেশের সভাপতি বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের নেত্রী নাইমা খালেদ মনিকা অভিযোগ করেন, মুক্তমঞ্চে কর্মসূচির অনুমতি প্রশাসন দিলেও আইন শৃংখলাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো. রশীদ বলেন, “একইদিনে একাধিক কর্মসূচি থাকায় এ সংগঠনের আজকের (রোববার) কর্মসূচি একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আয়োজক সংগঠনের নেতারা তা অমান্য করে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ায় তাতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।

“তবে শেষ পর্যন্ত আয়োজকরা কর্মসূচি চালিয়ে গেছেন।”

‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ আয়োজিত এ সভায় বক্তব্য দেন নারী নেত্রী নমিতা চাকমা, বিএমএসসি‘র সভাপতি নিয়ং মারমা, হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী নীতি চাকমা, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদ রানা, সহ-সভাপতি ফরহাদ জামান জনি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স প্রমূখ।

বক্তারা সারা দেশের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামেও নারী নির্যাতন বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা এক্ষেত্রে ‘বিশেষ গোষ্ঠীর মদদ রয়েছে’ বলেও অভিযোগ তোলেন।

বক্তারা অবিলম্বে খাগড়াছড়ির বলপাইয়া আদামে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে দল বেঁধে ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ ঘটনাসহ পাহাড়ের সব ধর্ষণ, সহিংতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তারা।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে জেলা সদরের বলপাইয়ে আদাম গ্রামে এক পাহাড়ির বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ সময় ওই বাড়ির গৃহকর্তীর একমাত্র বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েকে দল বেঁধে ধর্ষণ করে তারা।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি দুই আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খাগড়াছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম আফছার তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে বলেন, ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।

এছাড়া গ্রেপ্তার সাত আসামির ডিএনএ স্যাম্পল ঢাকায় দিয়ে আসা হয়েছে। সেই রিপোর্ট পাওয়া গেলে খুব দ্রুতই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

তিনি জানান, এখনো পলাতক থাকা দুই আসামিকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে।