সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ইয়াসমিন নাহার মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত হাসান আলী সরদার (২৫) সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের রজব আলী সরদারের ছেলে।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এটিএম ফখরুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন শামছুল বারী।
এটিএম ফখরুল আলম বলেন, তিন কেজি গাঁজা রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে হাসানের বিরুদ্ধে। আদালত তাকে এক বছরের প্রবেশন দিয়েছে। তাকে পাঁচটি শর্ত মানতে হবে।
শর্তগুলো হল- (১) কোনো ধরনের মাদক বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করা যাবে না। (২) খারাপ সঙ্গীর সঙ্গে মেশা যাবে না। (৩) এক বছরে ১০টি গাছের চারা লাগাতে হবে। (৪) বাবা-মায়ের সেবা করতে হবে। (৫) সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন মাদকের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে হবে।
প্রচারণার সময় কী কী উল্লেখ করতে হবে তা রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করলে তাকে আবারও কারাগারে যেতে হবে বলে আদেশ দিয়েছে আদালত।
আইনজীবী ফখরুল বলেন, সাতক্ষীরার আদালতের এটি একটি উল্লেখযোগ্য আদেশ। সাজাপ্রাপ্ত আসামি শর্তগুলো মানছেন কিনা তা তদারক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাতক্ষীরা সমাজসেবা দপ্তরের একজন কর্মকর্তাকে। তিন মাস পরপর তাকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।