পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ছবি প্রকাশের হুমকি

বরগুনায় পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ছবি তুলে রেখে তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2020, 03:40 PM
Updated : 10 Nov 2020, 05:20 PM

এ ঘটনায় মঙ্গলবার ওই স্কুল ছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

২০ ও ২২ বছর বয়সী দুই তরুণের বিরুদ্ধে ১২ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে ধর্ষণের এ অভিযোগ করা হয়েছে।

গত শনিবার ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর তার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ফের তাদের কাছে যেতে বলার পর মেয়েটির অভিভাবকরা বিষয়টি প্রকাশ করেন।

ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়ের নগ্ন ছবি ছেড়ে দেওয়ার ভয়ে আমি এত দিন এ বিষয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে সাহস পাইনি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শঙ্কর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী দুইদিন পরে এ নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।

আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে কথা বলেছি। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর বলেন, আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের এক তরুণ গত ছয় মাস ধরে ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিল। তার প্রেমের প্রস্তাবে প্রথমে সাড়া দেয়নি ওই স্কুল ছাত্রী। গত তবে মাস তিনেক আগে ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সেই তরুণ।

গত শনিবার ওই ছাত্রীকে পৌর শহরের নতুন বাজার বাঁধঘাট চৌরাস্তা সংলগ্ন এক রেস্তোরাঁয় ডাকে ওই তরুণ। ছাত্রীটি সেখানে যায়। তরুণটি তার বন্ধুকেও সঙ্গে নিয়ে মেয়েটির সাথে দেখা করতে আসে।

এ সময় তরুণটি তার ভাবির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ছাত্রীকে কাছের এক বাড়িতে নিয়ে যায়। 

এ সময় ওই দুই তরুণসহ স্কুল ছাত্রীকে ঘরে রেখে তালা দিয়ে বাসার বাইরে চলে যান ওই বাড়ির বাসিন্দা। ওই বাসায় দুই তরুণ ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগ।

মেয়েটি বলেছে, ধর্ষণ শেষে ওইতার নগ্ন ছবি তুলে মোবাইল ফোনে ধারণ করেন তারা। এ ঘটনা কাউকে জানালে এবং পুনরায় তাদের ডাকে সাড়া না দিলে ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করার ভয় দেখায় তারা।

সেই রাতেই বাসায় ফিরে ধর্ষণের ঘটনা মেয়েটি তার অভিভাবকদের জানায়। তবে ‘ভয়ে’ তারা কোনো আইনি পদক্ষেপ নেননি।

গত সোমবার রাতে ওই দুই তরুণ ফের মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীকে আবার তাদের সাথে দেখা করতে যেতে বলেন। এরপর স্বজনরা মঙ্গলবার সকালে ওই ছাত্রীর নমুনা পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।