সোমবার বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ মো. মহসিনুল হক এই রায় দিয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামাল, সিটি করপোরেশনের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও ওই সময়ের সহকারী প্রকৌশলী খান মো. নূরুল ইসলাম, ওই সময়ের পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইসাহাক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সত্তার ও ঠিকাদার জাকির হোসেন।
রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রায়ে আহসান হাবিব কামাল ও জাকির হোসেনকে এক কোটি টাকা করে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
মামলার নথির বরাত দিয়ে বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ জানান, ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল বাসেদ।
এজাহারে বলা হয়, ১৯৯৫ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৬ সালের ৩ জুন পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে আসামিরা ২৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
ওই সময় আহসান হাবিব কামাল বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তিতে তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্বও পালন করেন। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে তিনজন তৎকালীন পৌরসভায় বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পৌর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত দেখিয়ে টেলিফোন শিল্প সংস্থার জাল প্যাড তৈরি করে, ভূয়া দরপত্র আহ্বান করা হয়; নিয়োগ দেওয়া হয় ভূয়া ঠিকাদার।
অভিযোগে আরও বলা হয়, জালিয়াতির মাধ্যমে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বরিশাল শাখার চলতি হিসাব থেকে ৪ চেকের মাধ্যমে ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্য থেকে ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৭১ টাকা সড়ক মেরামত বাবদ খরচ দেখানো হয়। বাকি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৯ টাকা আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে আত্মসাৎ করেন।
বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ আরও জানান, মামলাটি তদন্তের পর ২০১১ সালের ১৯ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পাঁচ আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে আহসান হাবিব কামাল ও জাকির হোসেনকে এক কোটি টাকা করে আর্থিক জরিমানাও করা হয় বলে তিনি জানান।